ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শ্রমিক দল নেতা আল আমিন, ডান চোখে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম ও বাম চোখে গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনির হোসেন চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ায় এসব নেতাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় আনা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মতে আহত নেতাদের সবার খোঁজ-খবর রাখছি। আজ সোমবারও প্রতিটি হাসপাতালে আহত নেতাদের দেখে এসেছি, সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
ডা. রফিকুল বলেন, সবচেয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছে লাইভ সাপোর্টে থাকা ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম। এ ছাড়া যাদের চোখে গুলি লেগেছে, তাদের চোখে দৃষ্টি ফিরবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় সমাবেশ শেষে বিএনপি মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এই বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।
ভোলার এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। তিনি নিজেও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।
এবিএম মোশাররফ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘সমাবেশে অন্তত ৩ থেকে ৪ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছিল। পুলিশও তাদের মতো দায়িত্ব পালন করেছে সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সমাবেশ শেষে আমাদের মিছিল করার কথা আগে থেকেই বলা ছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে মিছিল বের করতেই পুলিশ অতর্কিত হামলা করে। যা আমাকে হতবাক করে দেয়। আমি মিছিলের একেবারে সামনে ছিলাম। আমাকেও তারা মেরেছে। এমন কেউ নেই যাকে মারেনি।
Leave a Reply