1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
বাকেরগঞ্জে গ্রামপুলিশকে কুপিয়ে জখম, ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন

বাকেরগঞ্জে গ্রামপুলিশকে কুপিয়ে জখম, ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২
  • ৫২ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশালের বাকেরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন মো. এনামুল সরদার নামের এক গ্রামপুলিশ সদস্য। চল্লিশোর্ধ্ব এই ব্যক্তির গত বুধবার (২৭ জুলাই) স্থানীয় মাছুয়াখালী গ্রামে সন্ত্রাসী শাকিল মিয়ার (৩৫) নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এবং তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় গতকাল (০১ আগস্ট) বাকেরগঞ্জ থানায় পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ পরবর্তী এহাজারের ২ নম্বর আসামি মো. আবু তাহের মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়- গ্রামপুলিশ সদস্যর ওপর হামলা ঘটনায় পুলিশ তাহের মিয়াকে গ্রেপ্তার করে এবং মঙ্গলবার কয়েকজন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের মধ্যে একজন খাইরুল মিয়াকে (২৫) বিচারক কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

গ্রামপুলিশ সদস্যর মেয়ে এই মামলার বাদী সীমা আক্তার অভিযোগ করেছেন- তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালিয়ে গেলেও মূলহোতা শাকিল এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে। এবং মামলা তুলে নিয়ে নানা হুমকি-ধামকি দেয়, দিচ্ছে। এমনকি মামলা না তুলে নিয়ে তার ২ ভাই হাসান এবং সজিব চৌকিদারকে খুন-জখমে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

ভুক্তভোগী এনামুল সরদার চৌকিদার জানান, মামলার এক নম্বর আসামি শাকিল এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এর প্রতিবাদ করে আমার ২ ছেলে সজিব এবং হাসান। এতে শাকিল ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ছেলের কুপিয়ে জখম করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এই বিষয়টির প্রতিবাদ করায় আমার ওপরেও বেজায় ক্ষুব্ধ হয়। এবং ২৭ জুলাই আমাকে মাছুয়াখালী গ্রামে একা পেয়ে সহযোগীদের নিয়ে শাকিল আমার ওপর হামলা চালিয়ে একপর্যায়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা মৃত ভেবে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরবর্তীতে শেবাচিমে নেওয়া হয়।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, এই ঘটনায় মূলহোতা শাকিলসহ নামধারী ৬ এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এবং তাহের মিয়া নামের এক আসামি গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠান। শুনেছি আরও কয়েকজন আসামি মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তাদের একজন খাইরুল মিয়াকে বিচারক কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এই মামলার এক নম্বর আসামি শাকিল এলাকায় প্রকাশে ঘুরছে এবং মামলা তুলে নিতে বাদীসহ স্বজনদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে- এ প্রসঙ্গে ওসি বলেন- মামলা গ্রহণের পরপরই পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এবং বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ সম্ভব্য স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মূলহোতা শাকিলসহ সকলকেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ