1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
পটুয়াখালীতে নামেই হাসপাতাল, কোনো কাজে আসে না গ্রামবাসীর - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীতে নামেই হাসপাতাল, কোনো কাজে আসে না গ্রামবাসীর

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২
  • ২৩১ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // পটুয়াখালীর বাউফল উপজলা সদরের কায়না গ্রামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ চিকিৎসা কেন্দ্রটি গ্রামবাসীর কোনো কাজেই আসে না। হাসপাতালটি চালু হওয়ার পরে একজন রোগীও ভর্তি হয়নি। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে হাসপাতালটি এখন নামেই রয়েছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সেপ্টেম্বরে বাউফলের কায়না গ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিনের বাড়ির সামনে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০১৬ সালে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।

দুটি তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা। তিন তলা ভবনের একটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসার জন্য অন্যটি চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থাকার জন্য আবাসিক ভবন হিসেবে।

সরকারি বিধি অনুযায়ী একজন মেডিকেল অফিসার, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ক্লিনিক (ল্যাব), পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ৪ জন, একজন করে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়ক, ওয়ার্ডবয় ও আয়া। অথচ কেন্দ্রটিতে নেই কোনো চিকিৎসক। একজন তৃতীয় শ্রেণির নার্স, একজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়েই চলছে হাসপাতালটি।

হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্ট্রারে দেখা যায়, ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ৩১ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশ সর্দি ও জ্বর রোগে আক্রান্ত। সদর বাউফল ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে আমার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নুপুর বেগম (২৩) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কায়না গ্রামের মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারি কোনো চিকিৎসক নেই।

পরে একজন নার্স ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর নুপুর সুস্থ হয়। কোটি টাকা ব্যয় করে যে হাসপাতাল তৈরি হলো তা যদি কাজে না আসে তাহলে করে লাভ কি হলো? এসময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটি চালু করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা পরিবার পরকিল্পনা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এ উপজেলার ১০ শয্যার দুটি মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে, লোকবল না থাকায় সরকারের গ্রামীণ পর্যায়ে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চিত করার যে উদ্দেশ্য তা হচ্ছে না। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

পটুয়াখালী পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর লোকবল নিয়োগ না দেওয়ায় এ ধরনের মা ও শিশু কল্যাণ চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো কোনো কাজে আসছে না। তবে বিষয়টি মন্ত্রাণালয়ে আগেই জানানো হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ