১৫ আগস্টের খুনিদের জিয়াউর রহমান যে শুধু ইনডেমনিটি দিয়ে মাফ করে দিয়ে পুরস্কৃত করেছে তা তো নয়। এরশাদ এসে খুনি ফারুককে প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট করল। খালেদা জিয়া এসে আরও একধাপ ওপরে। রশিদ-ফারুক-হুদা তিনজনকে নমিনেশন। ফারুককে জেতাতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেটা পারেনি। হুদা আর রশিদকে জিতিয়ে পার্লামেন্টে বসাল।
তিনি বলেন, খুনি রশিদকে পার্লামেন্টের লিডার অব অপজিশনে বসাল। তার মানে এই দেশে খুনিদের সৌহার্দ্য কত এটা জনগণের জানা উচিত। সেই খুনিদের তারা পুরস্কৃত করার মানে কী? ১৫ আগস্ট হত্যার সঙ্গে এদের যে সম্পৃক্ততা, জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা, ইনডেমনিটি দিয়ে তাদের বিচার হবে না। আমরা যারা পনের আগস্ট আপনজন হারিয়েছি আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। মামলা করার অধিকার ছিল না, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। অর্থাৎ বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি এ দেশে চালু করে দিয়েছিল। যেখানে তুমি কোনো দিন ন্যায় বিচার চাইতেই পারবে না। খুব ইয়ে লাগে যখন কেউ মারা গেলে আমার কাছে বিচার চায়। আমার তো বিচার পেতে ৩৫ বছর সময় লেগেছে। আমার বাপ, মা, ভাই- সব হারানোর পরেও বিচার চাইতে পারিনি।
লেখকঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,বাংলাদেশ।
Leave a Reply