1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশও, জেলে পল্লীতে হাহাকার - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
মাদক ব্যবসায়ীদের চক্রান্তের স্বীকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সদস্য যমুনা গ্রুপে চাকরির সুযোগ অর্থ আত্মসাতের দায়ে চার ব্যক্তির ১৫ বছর করে কারাদণ্ড লালবাগে মিষ্টির দোকানে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯ ইউনিট বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকিং কার্যক্রম বাগেরহাটে ৬৬০ টন চোরাই কয়লাসহ ২ লাইটার জাহাজ জব্দ, আটক ৪১ বাগেরহাটের কচুয়ায় নবাগত ইউএনও রাখী ব্যানার্জী যোগদান করলেন বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে এখনও তৎপর শেখ সারহার নাসের তন্ময় বিএনপি-জামাত আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করছে: এমপি শেখ সারহার নাসের তন্ময় বাগেরহাটে মোংলায় বিশ্ব নদী দিবস পালিত

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশও, জেলে পল্লীতে হাহাকার

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২
  • ১৬৩ 0 বার সংবাদি দেখেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক // একদিকে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। অন্যদিকে নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এ কারণে ধার-দেনায় সংসার চালাতে হচ্ছে ভোলার লালমোহন উপজেলার জেলেদের।

যার ফলে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে উপজেলার জেলে পল্লীগুলোতে। এ যেন জেলেদের নিরব কান্না। উপজেলা মৎস্য অফিসের হিসাবমতে- লালমোহনে মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা রয়েছে ২৩১৭৮ জন। তবে এর প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি।

উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের বাত্তিরখাল এলাকার জেলে শহিজল হক বলেন, নদীতে তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরে কিছু ইলিশ থাকলেও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে-সাগরে গিয়ে যে ইলিশ পাওয়া যায়-তাতে প্রতিবার ফিরে দেখা যায় লাভের চাইতে লোসকানের পরিমাণই বেশি।

কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশায় রয়েছি। চারটি এনজিওতে ঋণ রয়েছে। মাস শেষে ঠিকমতো এনজিওর কিস্তি দিতে পারছি না।

বাত্তিরখাল এলাকার একটি মাছধরা ট্রলারের মাঝি মো: শাহেআলম বলেন, নদী বা সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশে সাত দিনের জন্য একটি ট্রলারে অন্তত ১৫-১৬ জন জেলে বের হন।

এই সাতদিনের জন্য ট্রলারে খরচের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টাকা। তবে মাছ শিকার শেষে তীরে ফিরে দেখা যায় ৫০ হাজার টাকার মাছও পাওয়া যায়নি। এজন্য জেলেরা এখন নদীতে যেতে চাচ্ছেন না।

উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর জেলে মো: ওয়াসিম জানান, বর্তমানে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ নেই বললেই চলে। তার ওপরে যে হারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে- তাতে নদী থেকে ফিরে দেখা যায় লাভের চাইতে লোসকান বেশি।

এ অবস্থায় জেলে পেশায় এখন টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে ঋণের দায়ে গ্রাম ছেড়ে পালাতে হবে। তাই আমাদের দাবি জেলেদের জন্য সরকারি যে বরাদ্দ রয়েছে, তা যেন আরো বৃদ্ধি করা হয় এবং সুদবিহীন সরকারিভাবে যেন ঋণের ব্যবস্থা করা হয়।

উপজেলার নাজিরপুর মাছ ঘাটের আড়ৎদার মো: মনির হাওলাদার জানান, নদীতে মাছ কম থাকার কারণে জেলেরা আমাদের থেকে যে টাকা নিয়েছে তাও ঠিকমত শোধ করতে পারছেন না।

এতে করে যেমন জেলেদের সমস্যা হচ্ছে, তেমনি আমাদেরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে। রীতিমতো সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।

নদীতে মাছ কম পাওয়ার বিষয়ে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো: তানভির আহমেদ বলেন, নদীর মোহনা অঞ্চলে পলি জমার কারণে নদীতে গভীরতা কমে গেছে।

যার জন্য নদীতে স্রোতও কমেছে। ফলে বর্তমানে যে পরিমাণ মাছ নদীতে আসার কথা তা আসতে পারছে না। এজন্যই নদীতে মাছ স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। নদীর এসব স্থান যদি ড্রেজিং করা হয়, তাহলেই নদীতে আগের মতো মাছ পাওয়া যাবে।

মেরিন ফিশারিজের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, তবুও আশা করছি সেপ্টেম্বরের প্রথম দিক থেকে নদীতে ইলিশের সংখ্যা বাড়বে। তখন হয়তো জেলেরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাবেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ