সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ওই ল্যাবের মালিক প্রদীপ কুমার পাল বলেন, নবজাতক ও তার মা উভয়ই সুস্থ্ আছেন। তৃতীয় সন্তান প্রসব করা ওই নারী নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর কলোনির বাসিন্দা ও রাজমিস্ত্রি নুরে আলমের স্ত্রী ময়না বেগম (২৯)।
নুরে আলম জানান, তার অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীকে নগরীর আমানতগঞ্জ হলিংবেরি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়না বেগমের অস্ত্রোপাচারের জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে হবে। তাই রবিবার শেষ বিকেলে ময়নাকে ইজিবাইকে করে লাইফ লাইন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আনা হয়। ওই ল্যাবের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই স্বাভাবিকভাবে তার স্ত্রী ছেলে সন্তান প্রসব করেছে।
ময়না বেগমের বোন সোনিয়া বেগম জানান, তার বোন বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় চিকিৎসককে ঠিকভাবে সবকিছু বোঝাতে পারেননি। চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্তান প্রসবের দিন ছিলো আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর।
ল্যাবের ম্যানেজার মো. আল-আমিন জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে এসে দরজা দিয়ে প্রবেশ করার পরই অন্তঃস্বত্তা নারী বসে পরেন। তার সঙ্গে থাকা অপর নারী বলে ওঠেন সন্তান প্রসবের সময় হয়ে গেছে। পরে ছেলে সন্তান জন্ম দেয় ওই নারী। তাৎক্ষনিক সদর হাসপাতাল থেকে একজন নার্স এনে ওই নারীকে সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ল্যাবের মালিক প্রদীপ কুমার পাল বলেন, আমার ল্যাবে জন্মগ্রহণ করা নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আজীবন ফ্রি ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি নবজাতককে উপহার হিসেবে নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply