1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা হয়নি পুলিশ কনস্টেবলের - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা হয়নি পুলিশ কনস্টেবলের

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২
  • ৬৮ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // বিয়ের প্রলোভনে বাড়িওয়ালার ১৯ বছরের মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বরিশাল জেলা পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গ্ৰেফতার এড়াতে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাপ দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না কনস্টেবল কাওছার আহম্মেদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিমুল করিম। তিনি বলেন, গ্ৰেপ্তার পুলিশ কনস্টেবলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার বাদী ও ভিকটিম তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, গ্রেফতার কাওছার আহম্মেদ বরিশাল জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বরগুনা জেলা সদরের আমড়াঝুড়ি এলাকার আলম শিকদারের ছেলে। তবে চাকরির সুবাদে কাওছার বরিশাল নগরের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার বুকভিলা গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, কাওছার আহম্মেদ গত জানুয়ারি থেকে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে বুকভিলা গলির ভিকটিমের বাবার মালিকানাধীন ফ্ল্যাট বাসায় ওঠেন। সেই সুবাদে বাড়ির মালিকের ১৯ বছরের মেয়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তরুণীর সরলতার সুযোগ নিয়ে কাওছার তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। এরপর গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময়ে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা ও খালাকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন প্রায় ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী।

তবে থানা পুলিশের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীর ২ মাস আগে বিয়ে ঠিক হয়। যার কিছুদিন পরেই তরুণী জানতে পারেন যে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানতে পেরে লুকোচুরি শুরু করেন পুলিশ সদস্য কাওছার। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীর সংলগ্ন ত্রিশ গোডাউন এলাকায় তাকে খুঁজে পান ওই তরুণী। এরপর ৯৯৯ এর মাধ্যমে থানা পুলিশকে অবহিত করেন তিনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কাওছারকে আটক করার চেষ্টা করা হলে তিনি দৌড়ে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাপ দেন। পরে একটি ট্রলারে করে মাঝনদী থেকে কাওছারকে আটক করে পুলিশ। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিমুল করিম বলেন, ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে পুলিশের সদস্যরা সেখানে যান এবং ওই পুলিশ সদস্যসহ ভিকটিমকে নিয়ে থানায় আসেন। ভিকটিম লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ