সোমবার সকালে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়- ১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এসভিপি শওকত ওসমান চৌধুরী, খাতুনগঞ্জ শাখার সাবেক এসইও অ্যান্ড ম্যানেজার অপারেশন মো. আনোয়ার হোসেন, এস বি অটো ব্রিকস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটিডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ছগীর চৌধুরী, ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালক মো. আবু আলম ও তার স্ত্রী পারভীন আজাদ।
এছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে ন্যাশনাল সার্ভে বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাজেদুল ইসলাম, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ফয়সাল আহসান চৌধুরী ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শামীমকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ গ্রহীতার বন্ধকি করা সম্পত্তির ফোর্সড সেল ভেল্যু কম জানা সত্ত্বেও ও পূর্বে প্রদত্ত ১৪ কোটি টাকা ঋণের অতিরিক্ত আরও ১০ কোটি টাকা ৩ মাস মেয়াদি টাইম ঋণ প্রদান করেন। ওই টাকা স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ও নগদে উত্তোলন করে ওই দশ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও সহযোগিতার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়- ১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, বিভাগীয় একটি মামলার ঘটনা অনুসন্ধান করে পদ্মা ব্যাংকে ২০১৮ দেড় কোটি টাকার জমি অতি মূল্যায়ন করে বন্ধকি নিয়ে ১৪ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়। পরে আবার ১০ কোটি টাকা টাইম লোন দিয়ে ব্যাংকটির এক পরিচালক ও তার স্ত্রীর হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকটি এই ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন শেষে সোমবার ১১জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply