সোমবার (২৯ আগষ্ট) দিনগত রাতে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল সকালে লালমোহন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রিমা বেগমের স্বামী জুবায়ের হোসেন।
অভিযোগের পর লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় প্রায় ৮ বছর আগে জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে রিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তাদের সাংসারিক সমৃদ্ধি সুখের হলেও হঠাৎ করে রিমা বেগম পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর দূর সম্পর্কের মামা পরিচয়ে তজুমদ্দিন উপজেলার গ্লোবপুর গ্রামের মতিউর রহমান পাটোয়ারী বাড়ির ইদ্রিস দরবেশের ছেলে মো.নুর-হাফেজ (৩২) ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সে-সময় স্ত্রী রিমা বেগম নুর-হাফেজকে মামা পরিচয় দিতেন।
এক পর্যায়ে রিমা বেগমের সঙ্গে তার (নুর হাফেজের) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের বিষয়টি তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে শাসন করেন। এরপর সকলের অগোচরে রিমা তাঁর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যান। সোমবার রাতে স্বামী জুবায়ের স্থানীয় বাজারে থাকাকালীন সময়ে নুর হাফেজের হাত ধরে দুই সন্তান নিয়ে উধাও হয়ে যান রিমা বেগম।
রিমার স্বামী জুবায়ের হোসেন বলেন, রিমার সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও আমি তাকে কম ভালোবাসা দিইনি। ব্যবসায়িক জীবনে অনেক শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করে স্ত্রী ও পরিবারকে দিয়েছি সুখে থাকবে বলে। সেই সুখের ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে রিমা বেগম। সে আমাদের দুই সন্তানের কথাও চিন্তা করেনি। যাওয়ার সময় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার ও আমার দুই সন্তান ফিরে পেতে চাই।
লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রহিম মিয়া বলেন, পরকীয়ার টানে গৃহবধূর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। একটা পরিবারের তিলে তিলে গড়া সম্মান ও স্বপ্ন ধূলায় মিশে গেছে। যা কাম্য নয়।
লালমোহন থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. জাহিদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে গতকালই সরেজমিন গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছি। ওই গৃহবধূ তাঁর দুই সন্তান ও অভিযুক্ত যুবক নুর হাফেজ আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের কাউকে সরেজমিনে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত চলমান রয়েছে।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী লালমোহন থানায় যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা
Leave a Reply