আজ বুধবার সকালে আদমদীঘির সদর, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ও সান্তাহার বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা ১৫ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩৫০ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ কিছুটা বেশি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পাইকারি বাজারে ১২ টাকা ও খুচরা বাজারে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মরিচ।
কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে আসা আবু সাঈদ জানান, তিনি ১২ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন।
কাঁচা মরিচ পাইকারি ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। কাঁচা মরিচ পঁচনশীল। তাই মরিচের দরপতন হয়েছে।’
মরিচ চাষি বেলাল হোসেন বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষের জন্য প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। হঠাৎ পাইকারি বাজারে ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এখন ক্ষেত থেকে প্রতিকেজি মরিচ তুলতে ৫ টাকা শ্রমিকের মজুরি দিতে হচ্ছে।
মরিচ ক্রেতা ফজলুল হক বলেন, ‘আজ সকালে খুচরা বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনেছি, যা গতকাল সোমবার ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ মরিচ চাষ হয় ইউনিয়ন এলাকাগুলোতে। সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে ছিল কৃষি বিভাগ। ফলে এবার মরিচের ফলনও ভালো হয়েছে।
Leave a Reply