শুরু থেকে ‘ভাইয়ারে’ নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায়, ঢাকাই সিনেমার সুবাতাস যখন বইতে শুরু করেছে ঠিক সেসময় সিনেমাটি মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। যেখানে ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ দেশের দর্শকদের হলমুখী করছে সেখানে এমন একটি সিনেমা মুক্তির বিপক্ষে ছিল অনেকেই। কিন্তু সব কথা উপেক্ষা করে সিনেমাটি মুক্তি দেয় এর প্রযোজক ফখরুল হোসেন। আর জাজ মাল্টিমিডিয়ার পরিবেশনায় পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে এটি মুক্তি পায়।
মজার বিষয় হচ্ছে, এই সিনেমায় হেলেনা জাহাঙ্গীরও অভিনয় করেছেন। আর এর প্রচারণা করেছেন সমালোচিত সেফাত উল্লাহ সেফুদা। ‘ভাইয়ারে’ সিনেমাটি নিয়ে প্রথম আলোচনা হয় হেলেনা জাহাঙ্গীরের একটি বক্তব্য ঘিরে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ভাইয়ারে ছবিটি অজু করে দেখলেও অজু ভাঙবে না।’
তার এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও পরে হেলেনা জাহাঙ্গীর ব্যাখ্যা দেন, সিনেমাটিতে কোনো খারাপ দৃশ্য নেই। শুধু তাই নয়, এখানে নায়ক-নায়িকা থেকে শুরু করে পুরো সিনেমাজুড়ে ঘনিষ্ঠ কোনো দৃশ্য নেই।
এরপর সিনেমার নায়ক রাসেল মিয়ার কান্নাজড়িত কণ্ঠের বক্তব্য, ‘এটি আসলেই একটি পাপমুক্ত ছবি। এই ছবি করতে গিয়ে কোনো অভিনয় শিল্পী বা নির্মাতা একটা মেয়ের হাত পর্যন্ত ধরেনি।’ এ কথা বলার আগে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কসমও খেয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ‘পাপমুক্ত সিনেমা’ বলার নায়কের ‘পাপযুক্ত’ ছবি এখন নেটদুনিয়া কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। যেখানে দেখা যায়, রাসেল মিয়া ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছেন এক নারীকে।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় রাসেল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাই যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, এটি একটি নাটকের দৃশ্য। যা এডিট করা। এটি “সংশোধন” নামের একটি নাটকের পর্ব। আমার প্রডাকশন থেকে নাটকটি মুক্তি পায়।’
নাটকটি কবে, কোন নির্মাতা আর অভিনেত্রী কে ছিলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি প্রায় দেড়-দুই বছর আগে মুক্তি পেয়েছে। কে বানিয়েছে আর কে ছিল, এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না। আমি বিষয়টি নিয়ে পরে আপনার সঙ্গে কথা বলছি। তবে এটা নিশ্চিত ছবিটি “ভাইয়ারে’ সিনেমার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই।’
রাসেল মিয়া ছাড়াও ‘ভাইয়ারে’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন- এলিনা শাম্মী, শবনম পারভীন, পীরজাদা হারুন, বড়দা মিঠু, সীমান্ত আহমেদ, জারা প্রমুখ। এর সংগীত পরিচালনা করেছেন প্লাবন কোরেশি। গান গেয়েছেন- এস আই টুটুল, মনির খান ও সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা।
Leave a Reply