1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
ভোলায় বিকাশ থেকে প্রতরাণার মাধ্যমে হ্যাকিং করে নিয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার  - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

ভোলায় বিকাশ থেকে প্রতরাণার মাধ্যমে হ্যাকিং করে নিয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার 

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৩ 0 বার সংবাদি দেখেছে
নিয়াজ মাহমুদ জয়, ভোলা প্রতিনিধি // ভোলার মনপুরায় রুহুল আমিন নামে হতদরিদ্র এক আচার বিক্রেতার বিকাশ একাউন্ট থেকে ৭৭ হাজার টাকা ও আমেনা নামে ৩ বছরের কণ্যা শিশুর চিকিৎসার ৫ হাজার টাকা তার মায়ের বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতারনার মাধ্যমে হ্যাক করে নিয়ে যাওয়া টাকা প্রতারক চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার করে দেন ওসি সাইদ আহমেদ। এদিকে দ্রুত সময়ে ভ্যানে করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আচার বিক্রেতার টাকা ও শিশু মেয়ের চিকিৎসার জন্য জমানো টাকা হ্যাকরদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন ওসি। এছাড়াও গত একমাসে বিচারক, পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ ব্যবসায়ীর বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে নিয়ে যাওয়া ২০ লাক্ষ টাকার ওপরে হ্যাকারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দেন বলে জানান ওসি। মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় মনপুরা থানায় ওসির কার্যালয়ে হ্যাকারদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা আচার বিক্রেতা ও শিশুর মায়ের কাছে তুলে দেন ওসি। এই সময় টাকা ফেরত পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আচার বিক্রেতা রুহুল আমিন ও শিশু আমেনার মাতা।
শিশু আমেনার মা জানান, বিয়ের পর ৩ মেয়ের জন্ম হয়। পরে চতুর্থ কণ্যা সন্তান আমেনা জন্ম হওয়ায় স্বামী চেড়ে চলে যান। জন্মের পর থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত আমেনা। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি। একটু একটু করে মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিকাশ একাউন্টে টাকা জমিয়েছি। কিন্তু কেমনে জানি টাকা চলে যায়। পরে ওসিকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন। কেমনে জানি ওসি স্যারে টাকা উদ্ধার করে দেন। পরে তিনি দু’হাত তুলে ওসির জন্য দোয়া করেন।
এদিকে হ্যাকিং হওয়া টাকা ফেরত পাওয়া ব্যবসায়ী, বিচারক ও ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন, মনপুরা উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর, ফেনী জেলার মেহমান হোটেলের বাবুর্চীর মোঃ বাবুলের ১৫ হাজার টাকা, চা দোকানদার রুবেলের ৫০ হাজার টাকা, বিকাশ এজেন্ট শাহীনের এক লক্ষ টাকা, ব্যবসায়ী জামালের এক লক্ষ টাকা, বিকাশ এজেন্ট রহিমের এক লক্ষ টাকা, পটুয়াখালী এক ব্যবাসায়ীর ৫০ হাজার টাকা, বিকাশ এজেন্ট নুরনবীর ৫০ হাজার টাকা, পুলিশ সুপার মর্যদার এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ জজ আদালতের এক বিচারক রয়েছেন। মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ