সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে টের পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন জানান, সিটি করপোরেশনের কাছে ওজোপাডিকোর ৫৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া টাকার জন্য ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর আওতাধীন আটটি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আটটি সড়ক হলো- নগরের পলাশপুর সড়ক, বাণিজ্যিক এলাকা বাজার রোড ও পোর্ট রোড, আবাসিক এলাকা কলেজ রোড, কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড, নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনের সড়ক, নতুল্লাবাদ লুৎফুর রহমান সড়ক ও উত্তর আমানতগঞ্জ সড়ক।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন জানান, সিটি করপোরেশনের কাছে ৫৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া আদায়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বকেয়া আদায়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তার অধীনে সাতটি সড়কের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সড়কগুলো হলো- কালিজিরা সড়ক, জিয়া সড়ক, ধানগবেষণা সড়ক, টিয়াখালী সড়ক, কালুশাহ সড়ক, নবগ্রাম সড়ক ও বটতলা। এসব সড়কের ৩০টি এলাকার শাখা সড়কের বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে না।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৮০ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর কোনো নোটিশ না দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে ১২টি পানি উত্তোলনের মোটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার থেকে বিষয়টি টের পেয়েছেন। পানি উত্তোলন করতে না পারলে নগরে পানি সংকট দেখা দেবে। এর সমাধানে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।
তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন দাবি করেন, ওজোপাডিকো ৪২ কোটি ২০ লাখ টাকা পাবে।
ওজোপাডিকো লিমিটেড বরিশালের পরিচালনা ও সংরক্ষণ সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে না সিটি করপোরেশন। এতে বিলের হিসেবে বৃহৎ একটি অঙ্ক দাঁড়িয়েছে। সেই টাকা উত্তোলন করতে না পেরে মন্ত্রণালয়ের চাপের মুখে রয়েছি। তাই সিটি করপোরেশনের সড়ক বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান শুরু হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়।
পরিচালনা ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, পাওনা পরিশোধে অসংখ্যবার তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে আশানুরূপ কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ পরিশোধের তারিখ ছিল ১৮ সেপ্টেম্বর।
Leave a Reply