1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পিতা পুত্রের লালসার শিকার এক নারী। থানায় অভিযোগ দায়ের - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
এআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাফল্য অর্জন, বৃত্তি পেলেন ৪ শিক্ষার্থী দুজনকে অভিশাপ দিলেন মাহিয়া মাহি স্ত্রীর ২ লাখ টাকার মঙ্গলসূত্র খেয়ে ফেলল মহিষ বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ বিজ্ঞানী স্কুল-কলেজে যৌন হয়রানি, প্রাইভেট-কোচিংয়েই ‘সর্বনাশ’ বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত নড়াইলে তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রতিটি পরিবারকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে  ডেঙ্গু আতঙ্কে মোরেলগঞ্জে নিম্নমানের মশার কয়েলে সয়লাব স্বাস্থ্যঝুঁকিতে অসহায় মানুষ মোরেলগঞ্জে দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পিতা পুত্রের লালসার শিকার এক নারী। থানায় অভিযোগ দায়ের

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৮০ 0 বার সংবাদি দেখেছে
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পিতা ও পুত্রের লালসার শিকার হয়েছে এক নারী।
বিধবা ওই নারী ন্যায় বিচারের আশায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাতীবান্ধা থানায় কিন্তু ঘটনার ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেননি থানা পুলিশ। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি করছে।
সরেজমিনে জানা যায় একই এলাকার জসিম মাষ্টারের বাড়িতে গৃহপরিচালিকার কাজ করতেন ভুক্তভুগি ওই নারী। সেই থেকে বাড়ীর মালিক জসিম মাষ্টার প্রায় তাকে কু-প্রস্তাব  দিতেন। সেই প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় জসিম মাষ্টার তাকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টাও করেছিলো দাবী ভুক্তভুগি ওই নারীর। এর পর সুস্থ হলে জসিম মাষ্টরের ছেলে সেলিমের কু -নজরে পড়েন ছামিনা। এর এক পর্যায়ে বিধবা ওই নারীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করেন সেলিম। বিয়ের এক বছর পর জসিম মাষ্টারসহ পরিবারের চাপে ছামিনাকে এক পক্ষ তালাক দেন সেলিম।  কিন্তু ছামিনার প্রতি জসিম মাষ্টার এবং ছেলে সেলিমের লালসা যেন শেষ হয় না।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর  রাতে  ছামিনা খাতুন প্রকৃতির ডাকে  সারাদিতে ঘর থেকে বাইরে যান। ঘরে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়ার সময় তার তালাক দেয়া স্বামী সেলিম হোসেন খাটের নিচ হতে বের হয়ে জড়িয়ে ধরে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। এসময় ছামিনার  চিৎকারে তার ভাবী ও এলাকাবাসী এসে সেলিমকে আটক করে। এখবর জানাজানি হলে সেলিমের ভাই ভাতিজা এসে ভুক্তভুগি ওই নারীকে মারধর করে সেলিমকে নিয়ে যায়।
 এবিষয়ে জসিম মাষ্টার ও তার ছেলে সেলিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা  করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত সেলিমের ছোটভাই কেতকিবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম ফোন রিসিভ করলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেয়
অভিযুক্তরা হলেন, ওই উপজেলার নওদাবাস  ইউনিয়নের কেতকিবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের বড়ভাই একেএম সেলিম হোসেন (৪৮) তার বাবা জসিম উদ্দিন মাষ্টার (৭০) , সেলিম হোসেন এর পুত্র সার্থক ও আব্দুস সালামের পুত্র সাফল্য(২৪),শাকিব হাসান (২২)।
ভুক্তভুগি ছামিনা বেগম ( ৩৭) ৮ নং নওদাবাস ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মৃত আকবর আলীর মেয়ে।
এবিষয়ে হাতীবান্ধা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শাহা আলম বলেন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দেখা যায় বিধবা ওই নারীর অভিযোগ সত্য তাই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ