1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
চরফ্যাশনে বেড়িবাঁধ নেই ১৩ কিলোমিটার, ঝুঁকিতে দেড় লাখ মানুষ - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
মাদক ব্যবসায়ীদের চক্রান্তের স্বীকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সদস্য যমুনা গ্রুপে চাকরির সুযোগ অর্থ আত্মসাতের দায়ে চার ব্যক্তির ১৫ বছর করে কারাদণ্ড লালবাগে মিষ্টির দোকানে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯ ইউনিট বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকিং কার্যক্রম বাগেরহাটে ৬৬০ টন চোরাই কয়লাসহ ২ লাইটার জাহাজ জব্দ, আটক ৪১ বাগেরহাটের কচুয়ায় নবাগত ইউএনও রাখী ব্যানার্জী যোগদান করলেন বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে এখনও তৎপর শেখ সারহার নাসের তন্ময় বিএনপি-জামাত আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করছে: এমপি শেখ সারহার নাসের তন্ময় বাগেরহাটে মোংলায় বিশ্ব নদী দিবস পালিত

চরফ্যাশনে বেড়িবাঁধ নেই ১৩ কিলোমিটার, ঝুঁকিতে দেড় লাখ মানুষ

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩৭ 0 বার সংবাদি দেখেছে
ডেক্স রিপোর্ট // ঘূর্ণিঝড় কিংবা নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে ভাঙছে চরফ্যাশন উপজেলার অরক্ষিত বেড়িবাঁধ। ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ না থাকায় উপকূলের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া বাঁধহীন এলাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হচ্ছে চিংড়ি ঘের, মাছের পুকুর, জমির ফসলসহ বসতবাড়ি। সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজারো পরিবার।

নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, সাগর উপকূলীয় অঞ্চলে জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দুর্যোগ মৌসুম। আর এই দুর্যোগ মৌসুম মানেই উপকূলবাসীর জন্য বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (ডিভিশন-২) সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলায় ৮৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মুজিবনগরে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার এবং কুকরিমুকরি ইউনিয়নে ১৪ কিলোমিটার। তবে এখনো বাঁধহীন রয়েছে ১৩ কিলোমিটার।

ঘোষের হাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীপাড়ের বাসিন্দা বশির চকিদার (৬৫) বলেন, ‘গবাদিপশু, চাষের জমি, এমনকি পরিবার, জীবনসহ সবকিছুই বিপদের মুখে রেখে বসবাস করতে হয় নদীর তীরের মানুষদের। কত ঝড়-বন্যা আর ভাঙন আমাদের নিত্যসঙ্গী। ভাঙনে ধরা গ্রামের মানুষগুলোকে বারবার বসত পাল্টাতে হয়। এমনিতেই গরিব, তার ওপর আবার বসতভিটা, চাষের জমি, থাকার ঘরও খোয়া যায় ভাঙনে। তাই অভাব কাটে না। বেড়িবাঁধ থাকলে হয়তো এমন ক্ষতি হতো না।’

একই এলাকার কবির মাঝির (৫৫) পেশা মাছ ধরা। পাঁচ একর জমির ওপর বাড়ি ছিল তাঁর। নদীভাঙনে এখন সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত। কবির মাঝিকে সাতজনের সংসার চালাতে নদীতে মাছ ধরতে নামতে হয়েছে অনেক আগেই। অথচ একসময় নিজের জমিতেই আবাদ করে সংসার চালাতেন। তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে উপকূলজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করে। বেড়িবাঁধ না থাকায় বাড়িঘর জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। গত বছরের এমন দিনে জোয়ারের পানিতে হাঁস-মুরগি ও দুইটা ছাগল ভেসে গেছে।’

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (ডিভিশন-২)-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া দুই কিলোমিটার, বাবুরহাট দুই কিলোমিটার, গাছির খাল এক কিলোমিটার, ঘোষের হাট থেকে কাশেম মিয়ার বাজার দুই কিলোমিটার এবং মুজিবনগর ছয় কিলোমিটার বাঁধহীন রয়েছে। ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বাঁধ মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। বর্ষা শেষে ওই স্থানে ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ