নিজস্ব প্রতিবেদক // নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এক রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স চালক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে। ছবিতে চালক কানে স্টেথিস্কোপ লাগিয়ে একজন রোগীকে সেবা দিতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ছবিটি নিয়ে চলে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।
আমজাদ হোসেন হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও সুরুজ্জামান শামীম জানায়, আমজাদ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক হলেও মূলত সে একজন দালাল। তিনি চিকিৎসক নয়। রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এলে কখনও কখনও ড্রেসিং কাজে সাহায্য করে। তিনি কিছুই জানেন না। রোগীদের টেস্ট দিলে তিনি নিজে টেস্ট করতে নিয়ে যায়। তাদের সমস্যা সমাধান করে রোগীদের আত্মীয়-স্বজনদের থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়।
তিনি আরও জানান, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রভাবশালী। যার কারণে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলেও তা হয় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার একেএম শাহাবুদ্দিন জানায়, বাইরের কোনো লোক কোনো ক্রমেই জরুরি বিভাগে কাজ করতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সের চালক আমজাদ হোসেন জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাশের মোমিনপুর এলাকার মারামারিতে আহত এক রোগী আসে। এ সময়ে স্টাফ ইয়াসমিন তাকে রোগীর প্রেসার মাপতে বললে তিনি কাজ করছিলেন। এ সময় কেউ জানালা দিয়ে গোপনে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা: রোজি আরা খাতুন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, গতকাল রাতে তার কোনো এক আত্মীয়কে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। আমি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। হাসপাতালে যেন পরবর্তীতে কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করতে না পারে সে জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply