মাহাথির মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিমের একটি রিসর্ট দ্বীপ ল্যাংকাউইতে ভোটের লড়াইয়ে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে চতুর্থ স্থানে ছিলেন। তবে এই আসনেই ২০১৮ সালের আগের ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে জিতেছিলেন তিনি।
আল জাজিরার প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, ১৯৬৯ সালে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকে মাহাথিরের এটা শুধুমাত্র প্রথম হার নয়, তিনি খুবই অপমানজনক ভাবে হেরেছেন। আসন হারানোর সাথে সাথে তার জামানতও হারিয়েছেন মাহাথির। কারণ তিনি প্রদত্ত ভোটের অষ্টমাংশও পাননি।
১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দুই দশকের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্র শাসন করা ৯৭ বছর বয়সী মাহাথির চলতি মাসে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে হেরে গেলে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন।
এরআগে দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে আগাম নির্বাচনের ডাক দেন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।
এই নিবার্চনে মাহাথির মোহাম্মদ একটি জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ক্ষমতাসীন বারিসান ন্যাশনালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নির্বাচনে প্রচার চালান। তবে এবারের নির্বাচনে তার জোট মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।
নিবার্চনের আগেই ধারণা করা হয়েছিলো, ক্ষমতাসীন বারিসান জোটকে এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনের জোটের পাশাপাশি বিরোধীদলীয় আনোয়ার ইব্রাহিমের জোটের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে।
এদিকে ভোটের আগে জরিপের দেখা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান এগিয়ে রয়েছে। ইব্রাহিমের জোট পাকাতান দেশটির ২২২ আসনের পার্লামেন্টে ৮২ আসন পেয়েছে। এরপরই রয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন জোট পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন)। তারা ৭৩টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের ক্ষমতাসীন বারিসান ন্যাশনাল জোট মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছে। এছাড়াও মাহাথির মোহাম্মদের দল একটি আসনও জিততে পারেনি।
সূত্র: আলজাজিরা, এএফপি
Leave a Reply