1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
অতিথি পাখিতে মুখর জলভরা ফসলি মাঠ   - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

অতিথি পাখিতে মুখর জলভরা ফসলি মাঠ  

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৬৫ 0 বার সংবাদি দেখেছে

বরগুনা পৌর শহরের হাসপাতাল পেছনে ও জেলা কারাগারের সামনের ফসলি মাঠে ঝাঁকেঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে শত শত অতিথি পাখি। দেখে মনে হবে পাখিদের মেলা। নয়ন জুড়ানো সুন্দর পাখিগুলোর ইংরেজি নাম ‘ওপেনবিল’ এবং বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানাস্টোমাস অসিটান, যার অর্থ ‘ইয়ানিং মাউথ। খাবারের সন্ধানে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা এই অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাঠের চারদিক। মাঠের এ দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সৌন্দর্য্য।

সবুজ শ্যামলে জীববৈচিত্রে ভরা এই ফসলি মাঠে শীতের আগমনে ফসলের জমিতে হঠাৎ করে নানা জাতের হাজার হাজার পাখির মেলা বসেছে। দলবেঁধে আসা এসব পাখির ডানার শব্দ আর কলতানে ভোরে ঘুমভাঙে স্থানীয়দের। ঝাঁকে ঝাঁকে আসা অতিথি পাখির মেলবন্ধন যেন এক অঘোষিত পাখির অভয়াশ্রম।

স্থানীয়রা জানায়, পাখিগুলো শীত প্রধান দেশে টিকতে না পেরে প্রতি বছর শীতে অতিথি হিসেবে এখানে আশ্রয় নেয়। এরপর বসন্তে উড়াল দেয়। আমাদের এ মাঠে পুরো ধানের চাষাবাদ চলছে। এমন সময়ে খাবার সংগ্রহসহ নিরাপদ আবাসস্থলে পানকৌড়ি, চাপাখি, টুনটুনি, বেনেবউ, হাঁড়িচাচা, দোয়েল, শালিক, রাতচরা, কানাবক, সাদাবক, ধূসরবক, মাছরাঙ্গাসহ নাম না জানা অনেক পাখির আনা গোনা চলে নিত্যদিন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগের শতাধিক একরের সরকারি জলায়তন ফসলি জমিতে হাজার হাজার অতিথি পাখি জলকেলিতে মেতে উঠে। তাদের ছোটাছুটি আর লুটোপুটি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। গোধুলির রঙ ডানায় মেখে পাখিগুলো যার যার মতো আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছগাছালি, বাঁশঝাড় ও কচুরিপানায়।

বিল পাড়ের বাসিন্দা রুবেল ও জাহিদ বলেন, এলাকার সাংবাদিক, পুলিশ, ডাক্তার, নার্সসহ সব শ্রেণির পেশাজীবীর মানুষ পাখির প্রতি একদম সদয়। এখানে কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয় না। তাই পাখি শিকার করতে এখানে আর কেউ আসে না।

গণমাধ্যমকর্মী প্রকৃতি প্রেমী সোহেল হাফিজ বলেন, পাখি নিরাপত্তায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করে। পাখি শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পাখি শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে। প্রচারসহ বিল এলাকা সরকারিভাবে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলে শীত মৌসুমে পাখির ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করে তিনি। এছাড়া এলাকাটি একটি সুস্থ বিনোদনের কেন্দ্রস্থল হতে পারে বলে জানান তিনি।

বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, একসঙ্গে এতো পাখির আনাগোনা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাখিগুলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দের বিনোদনের খোরাক জোগায়। এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে এ বিলে পাখিদের অন্যতম নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ