অবেশেষে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন তারা। আজ বুধবার সকালে উকিলের মাধ্যমে তারা এফিডেবিটের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠিকতা শেষ করেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের তুনের গ্রামের বাড়ি আত্মীয় স্বজনদের মেজবানের আয়োজন করেছেন।
ইমরানের বর্তমান বয়স ২৩ ও নিকি উল ফিদার বয়স ২০ বছর। নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার মায়ের নাম শ্রীআনি। মো. ইমরান হোসেন উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত আছেন।
ইমরানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে নিকি উল ফিয়ার সঙ্গে ইমরানের পরিচয় হয়। পরিচয়ের মাধ্যমে দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সর্ম্পক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে সেই বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। পরে নিকি উল ফিয়া ইমরানকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ইমরানের পরিবার থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আসেন সেই তরুণী। সেখান থেকে ইমরান নিকি উল ফিয়াকে বাউফলের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১৭ সালে ইমরানের বয়স ছিল ১৮ বছর। ২১ বছর না হওয়ায় বিয়েতে আইনি জটিলতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশে ফিরে যায় নিকি উল ফিয়া। তবে যাওয়ার সময় আমাদের বলেছিলেন ইমরানের বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করব। আজ অপেক্ষার দিন শেষ হয়েছে।’
ইমরান বলেন, ‘নিকির সঙ্গে আমার যোগাযোগটা অব্যাহত ছিল। ধীরে ধীরে আমরা একে অরপরের প্রতি আরো দায়িত্বশীল হয়েছি। সেই অপেক্ষা রুপ নিয়েছে শুভ পরিণয়ে। ভাবতেই এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।’