আজ শনিবার সকালে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে মানুষ সোচ্চার হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে নির্মূলের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা তৈরি করে ৬ বছর ধরে সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করার পরে গৃহ-অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত পরশু বেগম জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন। গতকালও আমি ছিলাম, হাসপাতালে সন্ধ্যার পরে বোর্ড হয়েছে। সেই বোর্ডে ডাক্তাররা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন যে, দেশনেত্রীকে যদি অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করা না হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় বা বাংলাদেশে তার চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হবে কি না তারা এখনো নিশ্চিত নন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা বারবার বলেছেন, চিকিৎসার জন্য ম্যাডামকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠানো উচিত। গতকালও তাদের সঙ্গে আলাপ করে তারা এ কথাই বলেছেন যে, তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো খুবই দরকার। যে কারণে সারা বাংলাদেশের মানুষ আজকে তার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। সুচিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় গণতন্ত্র মুক্তির জন্য যে এক দফা দাবির আন্দোলন চলছে, সেই দাবি আদায় করেই জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোকো অসাধারণ মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তার ভিত্তি স্থাপন করেছেন তিনি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন তিনি। তাকে ওয়ান-ইলেভেনের সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে তিনি যখন বিদেশ যান সেখানেও একইভাবে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। যার ফলে তিনি প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন।’
এর আগে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।