সামান্য খোঁচা লাগলে অথবা অকারণেই মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে অনেকেরই। কিন্তু কেন হয় এই রোগ, জানেন না অনেকেই। কেবল একটা আবছা ধারণা আছে, দাঁতের জোড় বা মাড়ির জোড় আলগা হয়ে গেলে বা সেখানকার পেশিতে আঘাত লাগলে এমনটা হয়।
কিন্তু জানেন কি, আর কোন কোন কারণে মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়? এ নিয়ে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চিকিৎসকেরা বলছেন, প্লাক নামক এক ধরনের জীবাণুর প্রভাবে এই সমস্যা হতে পারে। মাড়ির টিস্যুগুলোর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করে ধূপমান। কাজেই ধূমপায়ীদের সচরাচর এই সমস্যা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েরা অনেক সময় হরমোনের ওঠানামার কারণে এই রোগের স্বীকার হন। ভিটামিন সি ও জলের অভাব মাড়ির সমস্যা তৈরি করে। অনেকে বংশগতভাবে এই রোগে আক্রান্ত হন।
এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে যা যা করবেন :
দাঁতের যত্ন:
মুখ ঠিক করে পরিষ্কার করতে হবে, মাড়ির চারপাশে নোংরা জমে রক্ত পড়ার সমস্যা হয়। দিনে দু’বার দাঁত মাজা, একবার ফ্লস করা এবং যেকোনো খাবার খাওয়ার পরেই কুলকুচি করা আবশ্যিক। না হলে ব্যাক্টেরিয়া জমে জমে মাড়িতে নানা রকম জটিলতা তৈরি করতে পারে।
হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড:
দাঁত দিয়ে রক্ত পড়লে যেকোনো হাইড্রোজেন পেরোক্সাইডের সলিউশন দিয়ে মুখ কুলি করতে হবে। কুলি করার পর অবশ্যই সেটা না গিলে ফেলে দেবেন।
ধূমপান বন্ধ:
দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ার একটি বড় কারণ নিকোটিন। ধূমপান বন্ধ করে দেখুন কোনো রকম ফারাক বুঝতে পারেন কিনা।
ডায়েটে ভিটামিন:
গাজর, কমলালেবু, মোসাম্বির মতো ফল-সবজি, যাতে ভিটামিন সি রয়েছে, সেগুলো বেশি করে খান। দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রক্তজমাটের জন্য ভিটামিন কে খুবই জরুরি। ভিটামিন কে’র ওষুধ খেলে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া কমে যেতে পারে। কিংবা সবুজ শাকসবজি পরিমাণে বেশি খান।
লবণ পানি:
লবণ পানিতে কুলি করা সবচেয়ে উপকারী টোটকা। বেসিনের পাশে একটি বোতলে লবণ পানি রেখে দিন। প্রত্যেকবার মুখ ধোয়ার পর একবার করে কুলি করে দিন। ৩-৪ দিনে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
সম্পাদক : মো: রাকিবুল হাছান ।