1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
প্রেমিক যুগলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ, ধর্ষণ মামলায় তরুণ গ্রেপ্তার - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন

প্রেমিক যুগলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ, ধর্ষণ মামলায় তরুণ গ্রেপ্তার

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪৯ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রেমের দায়ে প্রেমিক যুগলকে সুপারি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ধর্ষণ মামলায় ওই তরুণকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। আর ওই তরুণীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে তাদের বেঁধে রাখা হয়। গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নির্যাতনের স্বীকার তরুণের বয়স ২২ বছর ও তরুণী ১৮ বছর বয়সী। তাঁরা একই এলাকার বাসিন্দা। তরুণ হিন্দু পরিবারের ও তরুণী মুসলিম পরিবারের। স্থানীয়রা বলছে, দীর্ঘ দিন ধরে ওই তরুণ-তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। গতকাল রাতে তরুণের বাড়িতে রাত্রিযাপন করে ওই তরুণী।

বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বুঝতে পেয়ে এলাকাবাসী তাদের আটক করে সিংগীমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়ির সামনের সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় তরুণীর বাবা তরুণের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। সেই মামলায় ওই তরুণকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। আর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য তরুণীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে সিংমারী ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য রাহেলা বেগম বলেন, ‘আমরা বেঁধে রাখিনি। ওই তরুণীর ভাই তাদেরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সে সময় স্থানীয় চৌকিদার উপস্থিত ছিল। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’

সিংগীমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, ‘বিষয়টি রাতে শুনেছি। তবে সকালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।’ অভিযুক্ত তরুণ বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে অন্যায়ভাবে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, ‘মেয়ের বাবার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর তরুণীকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ