1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
জীবন ও জীবিকা পাঠ স্কুলেই রান্না শিখছে শিক্ষার্থীরা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন

জীবন ও জীবিকা পাঠ স্কুলেই রান্না শিখছে শিক্ষার্থীরা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩২ 0 বার সংবাদি দেখেছে

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট // বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলার এসিলাহা পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিজের হাতে রান্না শিখছে। নিজেরা রান্না করে দুপুরের খাবারের আয়োজনও করেছে তারা।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কৃষিসহ নানা বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে জীবন ও জীবিকা নামে পাঠ্য বই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওই বইয়ের একটি অধ্যায়ে রান্নায় দক্ষতা অর্জনের বিষয়টি রয়েছে। যার অংশ হিসেবে রান্না শিখছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ( ১৯ অক্টোবর ২০২৩)দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কেউ পেঁয়াজ কাটছে, কেউ কাটছে মরিচ, কেউ চাল ধুঁয়ে রান্না বসাচ্ছে, কেউ আবার আলু কাটছে। কাউকে দেখা গেল ডিম ভাজতে। কারো ব্যস্ততা চুলায় আগুন জ্বালানো নিয়ে। এভাবে নিজেরা সম্মিলিতভাবে রান্নায় ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা।

এসব কাজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রয়েছেন শিক্ষকেরাও। সবাই একেক কাজে ব্যস্ত। পরে রান্না শেষে ১০ শিক্ষক, কর্মচারী ও ৫০ শিক্ষার্থী মিলে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন তারা।

শ্রেণি শিক্ষক তানিয়া সুলতানা বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা পাঠ্য বইয়ের স্কিল কুকিং অধ্যায়ের কাজের মধ্যে আনন্দ হাতেকলমে শিখতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা দুপুরে নিজেদের রান্না নিজেরাই করে খাবার খায়। এতে শিক্ষার্থীরা আনন্দ খুঁজে পায়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক হাওলাদার বলেন, শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান, যোগ্যতা, মূল্যবোধ ও সখ্য বাড়াতে জাতীয় শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এরই ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জীবন ও জীবিকা বিষয়ের বাস্তব অভিজ্ঞতার অর্জনের অংশ হিসেবে বুধবার শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বাজার করা থেকে শুরু করে রান্নার সবকিছুই করেছে। শিক্ষকরা তাদের সহায়তা করেছে ক্লাসের মত।

বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বিহনা আরফিন বিন্দু, চাঁদনী, তায়েবা, নুফিকাসহ অন্যরা জানায়, বাড়িতে মা প্রতিদিনই রান্না করেন। বাবা হাট থেকে চাল, ডাল, সবজি, তেল, লবণ থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিস কিনে নিয়ে আসেন। এই কাজ সম্পর্কেই আজ তারা অভিজ্ঞ হলো।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. বাকি বিল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার জন্য শিক্ষায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে হাতেকলমে বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যেমে কৃষি, রান্নাসহ নানা কাজ শিখছে শিক্ষার্থীরা। এতে তারা ভবিষ্যতে আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ