প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২০, ২০২৪, ৭:৫১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৮, ২০২৩, ১১:১৪ অপরাহ্ণ
মেহেন্দিগঞ্জে এসিল্যান্ড এর প্রচেষ্টায় গতি ফিরেছে ভূমি অফিসে!
মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার ভূমি কার্যালয় ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস গুলোতে সকল ধরণের জনভোগান্তি কমেছে। বর্তমানে এ উপজেলায় অতীতের চেয়ে সকল ধরণের ভূমি সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। অপ্রয়োজনীয় জনগণের ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। দালালের দৌরাত্ম বন্ধ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি অফিসের টেবিলে নেই কোন বস্তাবন্দী ফাইল। স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন সহকারী কমিশনার ভূমি তানভীর আহমদ। ভূমি সংক্রান্ত শুনানিতে ভুক্তভোগী স্ব-শরীরে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামুলক করেছেন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে অফিসের বিভিন্ন দেয়ালে এসিল্যান্ডের সরকারি নম্বর সম্বলিত স্টিকার লাগানো হয়েছে। এক সময় কর্মকর্তা সংকট আর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের ফলে গতিহীন হয়ে পড়েছিল ভূমি অফিসের কার্যক্রমে। বলা চলে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো ভূমি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম। বিপাকে পড়েছিল উপজেলার হাজার হাজার সেবা গ্রহিতা। খাজনা-খারিজ অভাবে ব্যাহত হচ্ছিল জমি ক্রয়-বিক্রয়ে। মিস কেস মামলা বছরের পর বছর শুনানি চলতো কিন্তু আদেশ হতো না। বর্তমানে কজলিস্ট ও কেস রেজিস্ট্রার যথাযথ ভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। আগামীতে অনলাইনে মিস কেইস আবেদন করা যাবে। এখন ভূমি মালিকরা এসএমএস ও কলের মাধ্যমে মিস কেইসের শুনানির তারিখ জানতে পারে।তাই মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হচ্ছে। গতি এসেছে ভূমি অফিসের সকল কার্যক্রমে। উপজেলার সহকারি কমিশনার ভূমি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অফিসের সামনেই টাঙানো হয়েছে সিটিজেন চার্টার। এর মাধ্যমে ভূমি অফিসের যেকোন নিয়ম-কানুন, খাজনা-খারিজ, পর্চা, রেকর্ড সংশোধন, জমি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেওয়া রয়েছে। ফলে সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি নেই বললেই চলে। পাশাপাশি আগতদের বসার জন্য তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন গোল ঘর। ভূমি অফিসের কাজের পাশাপাশি নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল যুগে নামজারিসহ অন্যান্য সেবা এখন জনসাধারণ খুব সহজেই সন্তোষ প্রকাশ করছেন। এক সময় ভূমির নামজারি করতে সময় লাগতো দুই থেকে তিন মাস। বর্তমানে নামজারি ২৮ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হচ্ছে। দিন দিন ভূমি উন্নয়ন সেবা উন্নত হওয়ার সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে মেহেন্দিগঞ্জের মানুষের দিনকাল। এই উপজেলাকে ভূমিহীন ঘোষণা করার লক্ষ্যে খাসজমি উদ্ধার করে মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। তবে জনবল সংকট এর কারণে শতভাগ ভোগান্তি লাগব করা হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ভূমি অফিস রয়েছে, সেখানে ১৪ জন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ও উপসহকারী কর্মকর্তার পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৬জন। এদের মধ্যে চানপুর ও সদর ইউনিয়নে পদ শুন্য থাকায় জন ভোগান্তি পুরোপুরি লাগব হচ্ছে না। বর্তমানে ইউনিয়ন ভূমি অফিস গুলোতে জনসাধারণ সহজে তাদের কাজগুলো করতে দেখাগেছে। তাদের আচার-আচরণে পরিবর্তন এসেছে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমদ জানান, নদীবেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ইন্টারনেট প্রাপ্যতা বৃদ্ধির সাথে সাথে জনগণ ই নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন করের আবেদন অনলাইনে করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মার্ট ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করায় দ্রুত সময়ে আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে।
সম্পাদক : মো: রাকিবুল হাছান ।
Copyright © 2024 Banglarkonthosor 24.com. All rights reserved.