সেই তালিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে বিজয় দেবেরাকোন্ডা, নাগা চৈতন্যের মতো তারকা। এ ঘটনায় অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ায় দিল্লি পুলিশ। নায়িকার ‘আপত্তিকর ভিডিও’র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তারা।
এবার ওই ভিডিও’র সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে বিহারের এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, বিহারের ১৯ বছর বয়সি ওই কিশোরই নাকি প্রথম ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে আপলোড করে শেয়ার করেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ওই কিশোরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। পিটিআই সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ১০ নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির (৪৬৫, ৪৬৯) ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের (৬৬সি ও ৬৬ই) ধারায় দিল্লি পুলিশের পক্ষে দায়ের করা হয়েছিল এফআইআর।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর রাশমিকা লেখেন, ‘আমার মুখ বসানো যে ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আমার খারাপ লাগছে। এই ঘটনা আমার কাছে যতটা যন্ত্রণার, ততটাই ভয়েরও। কোনো প্রযুক্তির যে এমন অপব্যবহার হতে পারে, তা ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা সব সময় ক্যামেরার সামনে থাকেন। আজ আমার পাশে আমার পরিবার, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীরা আছেন। কিন্তু স্কুল-কলেজেপড়ুয়া হিসাবে থাকাকালীন এমন ঘটনা ঘটলে আমি পরিস্থিতি সামলাতে পারতাম না। আমাদের সবার উচিত একজোট হয়ে এই বিষয় নিয়ে কথা বলা।’
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় রাশমিকার একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো পোশাক পরে লিফট থেকে বেরিয়ে আসছেন অভিনেত্রী। সেই পোশাকের ডিপ নেকলাইনের কারণে স্পষ্ট বক্ষবিভাজিকা। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারা যায়, ভিডিওর নারী আসলে রাশমিকা নন। অন্য এক নারীর ভিডিও কারসাজি করে অভিনেত্রীর মুখ বসানো হয়েছে। এই তথ্য জানার পরেই অপরাধীর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানাতে শুরু করেন রাশমিকার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
জানা যায়, ওই ভিডিও আসলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর ফসল। এআইয়ের সাহায্যেই জারা প্যাটেল নামক এক নারীর ভিডিওতে অভিনেত্রীর মুখ বসানো হয়েছে।