এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২৮ রান নিয়ে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১ রানের মাথায় আসরজুড়ে অফফর্মে থাকা প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা মিচেল স্টার্কের আঘাতে বিদায় নেন। ৮ রানের মাথায় জশ হ্যাজলউডের বলে প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত এক ক্যাচে বিদায় নেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি ককও। অথচ তখন হয়ে গেছে ৩৪ বল। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে আসে মাত্র ১৮ রান।
পাওয়ার প্লে শেষ হতে না হতেই আবারও উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে সেই স্টার্কের বলেই ফেরেন এইডেন মার্করাম। এরপর জুটি বাঁধেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও হেনরিখ ক্লাসেন। তবে পরের ওভারেই আবার হ্যাজলউডের বলে ফেরেন ডুসেন।
এদিকে, ম্যাচটি ঘিরে আছে বৃষ্টির শঙ্কাও। আজ সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন কলকাতার আকাশ। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দিনের পরের অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোর জন্য অবশ্য রিজার্ভ ডে রয়েছে। তাই প্রথম দিন বৃষ্টিতে খেলা বিঘ্নিত হলে, পরের দিন থাকছে ফল আনার সুযোগ।
বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত সাতবার ফাইনাল খেলেছে অজিরা, অন্যদিকে প্রোটিয়ারা এখনো পৌঁছাতে পারেনি ফাইনালে। তাই অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ সাতকে আট করে নেওয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জ, ফাইনালে উঠে ‘চোকার্স’ অপবাদ ঘোচানো।
যদিও বিশ্বকাপের মঞ্চে অস্ট্রেলিয়াকে কখনো ছেড়ে কথা বলেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের সাত ম্যাচে সমান তিনটি করে জয় দুই দলের। একটি ১৯৯৯ বিশ্বকাপে এজবাস্টনের সেই ‘টাই’। তবে প্রসঙ্গ যখন নকআউট, তখন পরিসংখ্যান অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই। ১৯৯৯ ও ২০০৭ সেমিফাইনালে প্রোটিয়ারা হারে অজিদের কাছে। দুইবারই শিরোপা বগলদাবা করে অস্ট্রেলিয়া।
তবে, সবমিলিয়ে খেলা ওয়ানডেতে আবার এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৫ জয়ের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৫০টিতে। সর্বশেষ ১৮ দেখায়ও দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক এগিয়ে। ১৫ ম্যাচেই অজিদের হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।