মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, আমরা এক্সপেক্ট (আশা) করছি তারা কোনো না কোনো সময় আমাদের কনসার্ন অথরিটি অথবা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তারপর আমরা স্ট্র্যাটিজি সেট করব যে কীভাবে তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন বা অন্যান্য কিছুতে যাব। আপাতত আমরা চিন্তা করছি জাহাজের যারা ক্র আছেন তারা যেন সেফ থাকেন।’
জাহাজটি কোথা থেকে হাইজ্যাক করেছে, কখন করেছে- সে বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সঠিক জায়গাটির নাম বলা যাবে না। এটা হচ্ছে ওদের যে সি এরিয়া, যেটা দেখা যাচ্ছে তাদের উপকূলের ২০ মাইল দূরে। এখন জাহাজটি চলছে না, নোঙর করা অবস্থায় আছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটি নির্ভর করে যারা হাইজ্যাক করেছে তারা কীভাবে যোগাযোগ করে এবং কী যোগাযোগ (চায়) করে, সেটার ওপর ভিত্তি করে।
এদিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, সোমালিয়া উপকূলের গারাকাড থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে নোঙর ফেলেছে জাহাজটি।
তিনি বলেন, জলদস্যুদের কেউ এখন পর্যন্ত জাহাজ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। জলদস্যুদের কাছ থেকে প্রথম প্রতিক্রিয়া পেতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলেও জানান মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
উল্লেখ্য, জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। তিন মাস আগে গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়েছিল জাহাজটি।