নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার শেষ দিন মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত মোট ৩২৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ৩৬৪টি। সে অনুযায়ী এখনো ৪০টি অস্ত্র জমা হয়নি। এগুলো উদ্ধারে যৌথবাহিনী পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ফজলুল করীম জানান, মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট ১৪১টি অস্ত্রের লাইসেন্সের মধ্যে মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত মহানগরীর চারটি থানায় মোট ১০১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা হয়েছে।
বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলার ১০টি থানায় অস্ত্র জমা পড়েছে ৮৩টি। তার আগেই ১৫০টি অস্ত্র জমা ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘জেলা ও মহানগর এলাকায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তি পর্যায়ে ৩৬৪টি লাইসেন্স দিয়েছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে বেশিরভাগ লাইসেন্সের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা বা অনুসারীরা।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান দলের নেতারাও।
এরই মধ্যে বরিশালে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। যাদের অনেকের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। তারা আত্মগোপন এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে পারেননি বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের।