মোঃ ছায়েদ হোসেন , রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি // এক শ্রেনীর লোক মঞ্চের গায়ে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। বিজয়ের মাসেও দীর্ঘদীন ধরে অযত্নে অবহেলায় বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চটি । এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কোন কমিটি না থাকায় উপজেলা কমান্ডারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও।
৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ঘুরে দেখা যায়, মাঝামাঝি স্থানে ফাটল ধরেছে।বিভিন্ন ধরনের আগাছায় ঝোপঝাড়ে পরিনত হয়েছে মঞ্চটি। একাংশ ভেঙে দেবে গেছে। মঞ্চের সামনে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখতে দেখা গেছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে তৎকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া মুক্তযোদ্ধা মঞ্চটি উদ্ভোদন করেন। তখন থেকেই বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সভা সমাবেশ ও মিটিং করতো উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ ও বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন এ মঞ্চে সভা-সমাবেশ, নাটক-অভিনয়সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতেন। মঞ্চের সামনে রামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থাকা স্বত্বেও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমিটি না থাকায় এক শ্রেনীর লোক মঞ্চের গায়ে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ আহম্মদ বলেন, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে এ মঞ্চে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করছেন তারা। নির্বাচিত কমান্ড কাউন্সিল না থাকায় এবং বরাদ্দ না থাকায় বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে মঞ্চটি। মঞ্চটি সংস্কারে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও উম্মে হাবিবা মীরার মুঠোফোনে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে এসএমএস করেও কোন উত্তর মিলেনি।
Leave a Reply