1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসে কাজ করছে: চরমোনাই পীর - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসে কাজ করছে: চরমোনাই পীর

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৬৮ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সিলেবাসে ডারউইনের থিওরি নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই মুসলমানের শিক্ষা ব্যবস্থা বলা যায় না।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শনিবার সকালে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে সভাপতি, আব্দুর রহমানকে সিনিয়র সহসভাপতি ও মাওলানা খলিলুর রহমানকে সেক্রেটারী জেনারেল করে ২০২৩-২৪ সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করে দলের আমীর চরমোনাই পীর। সম্মেলনে ১৮ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

তিনি শিক্ষা ধ্বংসের পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান। বলেন, অন্যথায় সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠলে সরকারের জন্য কল্যাণকর হবে না। মুফতি রেজাউল কবির বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো জনগণকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে।

জনগণকে শাসনের নামে শোষণ করছে। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচারের মূল লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন হলেও আজ দেশে ন্যায় বিচার নেই, মানবিক মুল্যবোধ বলতে কিছু নেই। আজও ন্যায় বিচারের আশায় মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়।

স্বাধীনতার ৫১ বছরেও মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভাত ও ভোটের অধিকার নেই। সাম্য তো নেই-ই। কেউ বস্তি ও ঝুঁপড়িতে বসবাস করে, আবার কেউ সীমাহীন আরাম আয়েশে আকাশচুম্বি সুখ ভোগ করে।

কোথায় সাম্য? প্রকৃত সাম্য প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রা. বিশ্ববাসীর সামনে ইতিহাস তৈরি করে গেছেন। সাম্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন— ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, আব্দুল হক আজাদ, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী সরকার (সাবেক এমপি), গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, লোকমান হোসাইন জাফরী, যুবনেতা নেছার উদ্দিন, খলিলুর রহমান, মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ লতিফ, শওকত আলী হাওলাদার, জান্নাতুল ইসলাম, আমিরুজ্জামান পিয়াল, মুফতি মোস্তফা কামাল, মেজর জেনারেল (অব.) ডা. হাবিবুর রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সোহেল রানা সম্পদ, আব্দুর রহমান, সৈয়দ ওমর ফারুক ও এইচএম সাইফুল ইসলাম।

চরমেনাই পীর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, ‌‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবার কোনো শক্তি নেই। এ ধরনের বক্তব্য সরসারি ইসলামবিরোধী।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, নমরুদ, ফেরাউন সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর শাসক ছিল, কিন্তু তাদেরও ইতিহাসের ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। কাজেই ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখাবেন না। সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে তেলের দাম কমলেও আমাদের দেশে দাম বাড়ে, বিদ্যুতের দাম ফের বাড়ানো হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্তের মানুষ কষ্টে আছে। ‘সরকারের লোকজন কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করেছে। পাচারকৃত টাকাগুলো ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ