1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
‘মা আমি ভুল করেছি, আমাকে মাফ করে দিও’ - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

‘মা আমি ভুল করেছি, আমাকে মাফ করে দিও’

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১৭২ 0 বার সংবাদি দেখেছে
আদালত প্রতিবেদক // চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের মেয়ে অজিহা আলিম রিদ। আদালতে রিদ বলেন, ‘‘মাকে হত্যার দুদিন পর জেলখানা থেকে বাবা আমাকে ফোনে জানান, ‘মা আমি ভুল করেছি, আমাকে মাফ করে দিও।’’

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম রিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। পরে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার সরদার জানান, ভিকটিমের মেয়ে অজিহা আলিম রিদ সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে সে আদালতে বলেছে, ঘটনার দিন গত বছরের ১৫ জানুয়ারি সে অন্য রুমে ঘুমাচ্ছিল। দুপুর ২টার পর সে জানতে পারে তার মা নিখোঁজ। তার বাবার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক ভালো ছিল না। মাকে প্রায়ই মারধর করতো তার বাবা। ঘটনার দুদিন পর তার বাবা সাখাওয়াত আলী জেলখানা থেকে রিদকে ফোন করে। ফোনে তাকে বলে, ‘মা আমি ভুল করেছি। আমাকে মাফ করে দিও।’

মেয়ের জবানবন্দি দেওয়ার সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শুনছিলেন বাবা সাখাওয়াত আলী নোবেল। অপর আসামি এসএম ফরহাদও কাঠগড়ায় ছিলেন। শুনানিকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সুমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ২৯ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ সংলগ্ন ঝোঁপের ভিতর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মরদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

তদন্তকালে জানা যায়, মরদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল ৭-৮টার মধ্যে খুন হন শিমু। এ ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে গত ২৯ আগস্ট কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ