1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
যে আমলে বাড়বে ভালোবাসা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

যে আমলে বাড়বে ভালোবাসা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১১৬ 0 বার সংবাদি দেখেছে
পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা, হৃদ্যতা নিয়েই বসবাস করে মানুষ। ঘটনা-দুর্ঘটনায় অনেক সময় সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়। একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। তবে সামাজিকতার প্রয়োজনে একে অপরের থেকে দূরে থাকতে পারে না। সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরা দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব অপরিসীম।

ইসলামের শিক্ষাও হলো পরস্পরের মাঝে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন মিলেমিশে থাকে। তার মধ্যে ভালো কিছু নেই, যে মিলেমিশে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সে-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৫৭৮৭)

‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা ভালো কাজের নির্দেশ দেবে এবং মন্দ কাজে বাধা দেবে।’ -(সুরা-৩ আলে-ইমরান, আয়াত: ১১০)

সম্পর্ক অটুট রাখতে কত পন্থাই অবলম্বন করে মানুষ। এরমধ্যে একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ একটি পদ্ধতি। সাক্ষাতের সময় প্রথমেই আমরা সালাম বিনিময় করি এবং মুসাফাহা করি। এতে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।

এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করো, এতে তোমাদের অন্তরে বিদ্যমান প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে। একে অন্যকে হাদিয়া প্রদান করো, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হবে এবং শত্রুতা ও ঘৃণা দূরীভূত হবে।’ -(আবু দাউদ : ৫২১২)
হজরত বারা বিন আযেব রা. বলেন, ‘পরিপূর্ণ অভিবাদন হল তোমার ভাইয়ের সঙ্গে তোমার মুসাফাহা করা।’-(আল-আদাবুল মুফরাদ ৯৬৭)

 

আত্মীয়স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে উত্তম আচরণ করা মুমিনের গুণ। সবসময় পরোপকারের বাসনা তার মনে জীয়ন্ত থাকবে। তার কোনো ভুলত্রুটি যদি অন্য কোনো মুমিন ভাই দেখিয়ে দেয়— তাহলে বিনা দ্বিধায় গ্রহণ করবে; সংশোধনে সচেষ্ট হবে।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য আয়নাস্বরূপ এবং এক মুমিন অপর মুমিনের ভাই।’ -(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫/৩২০)
এক মুমিন কখনোই অপর মুমিনের প্রতি অন্যায়-অবিচার করবে না। কেউ যদি অন্যায়-অবিচার করে, তাহলে মুমিনের দায়িত্ব হলো- তার ভাইকে মুক্ত করে ইনসাফ কায়েম করা। হাদিসে আছে, ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে কখনো তার ওপর জুলুম করে না, এবং জালিমের হাতে তাকে ছেড়ে দেয় না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫/৯৭)

 

মুমিন যখন কথা বলবে, খুবই নরম আওয়াজে বলবে। গিবত ও পরনিন্দা করবে না। গালি দিবে না। কাউকে ছোট করে কথা বলবে না। কখনো কাউকে কথা বা কাজে আহত করবে না। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সে যার হাত ও জবান থেকে অন্যান্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১/৫৩)

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ