সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এ কথা বলার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে আমরা পথ হারাইনি। রাস্তায় আমাদের সরব অবস্থান দেখে তারা ভেবে পাচ্ছে না কী বলবে। কিছু না কিছু বলতে গিয়ে আবোলতাবোল বকছে। সরকার হতাশ হয়ে আবোলতাবোল বকছে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রার কর্মসূচি নজিরবিহীনভাবে সফল হয়েছে বলে দাবি করেন খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি একের পর এক কর্মসূচি সফল করছে। আর ক্ষমতাসীনেরা পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের দৈন্যতার জানান দিচ্ছে। এভাবে যত তারা পাল্টা কর্মসূচি দেবে, তাদেরই ক্ষতি হবে।’
এসময় গণতন্ত্র’ পুনরুদ্ধারে’ সবার সহযোগিতা কামনা করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের জনগণ আজ অতিষ্ঠ, ক্ষুব্ধ এবং অনিবার্য কারণেই তারা প্রকাশ্যেই প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দেশের জনগণ এই দুঃসহ বর্তমান এবং অনিবার্য ধংস থেকে বাঁচতে চায়। তাদের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ ও অক্ষম সরকারের পরিবর্তন চায় বলেই বিরোধীদলের সভা, সমাবেশ, মিছিলে তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে; হামলা, মামলা, নির্যাতন অগ্রাহ্য করতে সাহসী হয়েছে এবং বিজয়ের লড়াইকে বেগবান করছে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনের জন্য সরকার পুলিশি হামলা-মামলার পাশাপাশি শান্তি সমাবেশের নামে প্রতিনিয়ত জনগণকে ভয় দেখানো; সভা-মিছিলে হামলা করে আহত, নিহত, নির্যাতিত করে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে এবং বিরোধীদলের প্রতিটি কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে ক্রমাগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে। বিরোধীদল সচেতনভাবে এসব প্ররোচনার ফাঁদে পা না দেয়ায় সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতারা হতাশ হয়ে আবোল তাবোল কথা বলে লোক হাসাচ্ছে।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারের অনুগত কয়েকটি টিভি চ্যানেলে কয়েক বছর আগে ডিজিটাল কায়দায় বানানো এমন এক ভিডিও প্রচার করেছে যা দেখলে যেকোনো সাধারণ নাগরিকও বুঝবে যে, এটা নোংরা রাজনৈতিক অপপ্রচারের এক বানোয়াট ও নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। সরকারি দলের অরাজনৈতিক অপকৌশলের পাশাপাশি আমরা তদের সহযোগী অনুগত মিডিয়ারও অনৈতিক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
মোশাররফ বলেন, ‘সরকারি দলের সম্মেলনের দিন আমরা ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। অথচ তারা আমাদের প্রতিটি কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে চলেছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এসব ঘটনা বর্জনীয় বলেই তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করে নিন্দা জানায়। জনগণ আশা করে সরকারি দল রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে এমন সহিংস তৎপরতা বন্ধ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।