তবে পাকিস্তানের গত কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবের ফিচের এই মূল্যায়ন পাকিস্তানকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
ফিচ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের দীর্ঘমেয়াদী বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুকারী ডিফল্ট রেটিং ‘সিসিসি প্লাস’ থেকে কমিয়ে ‘সিসিসি মাইনাস’ করে দিয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে পাকিস্তান উচ্চমাত্রায় খেলাপির ঝুঁকিতে আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের রিজার্ভের টানা পতন, তারল্য প্রবাহ কমতে থাকা আর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই মূল্যায়ন করেছে ফিচ।
পাকিস্তানকে নিয়ে এমন মূল্যায়নের পর নিজেদের পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দিয়ে ফিচ বলেছে, বৈদেশিক তারল্য প্রবাহ ও তহবিল পরিস্থিতি আকস্মিকভাবে খারাপের দিকে যেতে থাকায় এবং রিজার্ভ আশঙ্কাজনক পর্যায়ে থাকার কারণে পাকিস্তানের রেটিং কমাতে হয়েছে তাদেরকে।
এদিকে গতকাল পাকিস্তানের শেহবাজ শরিফ সরকার দেশটিতে ফের পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। ডয়চে ভেলে ও হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিনি বাজেট পাস করার পর নতুন করে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
পাকিস্তানে এখন এক লিটার পেট্রোলের দাম ২২ রুপি ২০ পয়সা বেড়ে হলো ২৭২ রুপি। অন্যদিকে ডিজেলের দাম ১৭ রুপি ২০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২৮০ রুপি। এ ছাড়া কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে লিটারপ্রতি ২০২ টাকা ৭৩ পয়সা।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডলারের তুলনায় রুপির দাম কমে যাওয়ায় এই দাম বাড়াতে হলো। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পেতে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। সংস্থাটির শর্তই হচ্ছে, লোন পেতে হলে অবশ্যই জ্বালানির দাম বাড়াতে হবে।