আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংককে না পাওয়া সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বড় ভুল বোঝাবুঝি। এজন্য শুধু বিশ্বব্যাংককে দায়ী করা যাবে না। এর সঙ্গে আমাদের দেশের কিছু বাঘা বাঘা ব্যক্তিও জড়িত ছিলেন।’
যোগাযোগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো যোগাযোগে এমন উন্নয়ন হয়নি। এটি বিরাট এক অর্জন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, একদিনে শত সেতু উদ্বোধনের ইতিহাস সৃষ্টি করি না কেন তারপরও সড়কে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে, প্রাণহানি হয় তা খুবই দুঃখজনক ও হতাশার।’
তিনি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে এ দেশে কিছু সমস্যা হয় সে বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। ঘাটে ঘাটে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এতে কষ্ট বাড়ে, সময়ও বাড়ে।’ এই প্রজেক্টে অংশীদার হওয়ায় বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার যে অর্থায়ন তা যেন যথাসময়ে বাস্তবায়িত হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নজর দিতে হবে। সময় নষ্ট করা যাবে না। পরিবেশ ও নাগরিকদের বাঁচাতে হবে, এই বিবেচনা মাথায় রেখে নাগরিকদের সড়কে নিরাপত্তা দিতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল (পরিবহন) প্র্যাকটিস ম্যানেজার ফেই ডেং। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব শরিফা খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে সড়কের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে আলোচনা করেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (অপরাধ ও অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম-বার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।