প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাকরিরত কর্মচারীরা ০১ জুলাই ২০২৩ থেকে প্রতিবছর ০১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর ৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়া হবে। তবে এ সুবিধার পরিমাণ ১ হাজার টাকার কম হবে না। অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএলে যাওয়ার আগে সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে ৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন। এ সুবিধার ন্যুনতম পরিমাণ ৫০০ টাকা।
এতে বলা হয়. যে সব অবসরগ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এ রকম, চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে নিট পেনশন অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত পদের মূল বেতনের ভিত্তিতে যে কোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশের ওপর ৫ শতাংশ হারে এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন। বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালীন কর্মচারীরা এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন না।
এর আগে গত ২৫ জুন সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ প্রণোদনার আওতায় বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে করা আলোচনায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী যারা আছেন, তাদের বিশেষ বেতন হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ এই আপৎকালীন সময়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতির উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা সরকারি চাকরিজীবীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে দেব।’