1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
রবীন্দ্রনাথ কে সবাই কবি হিসেবে চিনলেও তিনি একজন বিত্তশালী জমিদার ছিলেন - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
নড়াইলে সুলতান মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান জমির সীমানা পিলার দেখিয়ে দেওয়ায় হত্যার হুমকি নড়াইলে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মৃৎশিল্প নড়াইলে মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে ৫ হাজার ২২ ভোটে চেয়ারম্যান হলেন সফুরা খাতুন বেলি  নড়াইলে দুইজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার মেঘনায় অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞাকে পুঁজি করে হরিলুট, শেষ সময়েও চলছে অবাধে মাছ শিকার মুসাপুরে কিশোর গ্যাং লিডার মামুন ও সজীবের মাদক ব্যবসা রমরমা আব্দুল্লাহ হত্যা মামলার আসামী হামিদ আলী ফের বেপরোয়া নড়াইলের ফাজেল আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা নড়াইলের মাইজপাড়া ও কলোড়া ইউপির নির্বাচন সঠিকভাবে কর্তব্য-কর্ম পালন করার নির্দেশ এসপি

রবীন্দ্রনাথ কে সবাই কবি হিসেবে চিনলেও তিনি একজন বিত্তশালী জমিদার ছিলেন

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৭ 0 বার সংবাদি দেখেছে
উজ্জ্বল রায় // রবীন্দ্রনাথ কে সবাই কবি হিসেবে চিনলেও তিনি একজন জমিদার ছিলেন। জমিদার বলতে সাধারণত মানুষ ভাবে তারা খুব সম্পদ শালী, ক্ষমতা ধর, অত্যাচারী এমন টাইপ কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহন করলেও খুব বিত্তশালী ছিলেন না।
রবীন্দ্রনাথ বেঁচে ছিলেন ৮০ বছর। তার বয়স  যখন মাত্র ১৪ বছর তখন তাঁর মা মারা যান। বাবা দেবেন্দ্রনাথ একজন ট্রাভেলার ছিলেন ভাল বাংলায় বললে ভ্রমণপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। মায়ের অবর্তমানে রবীন্দ্রনাথের শৈশব – কৈশোর খুব বিলাসবহুল ভাবে কাটেনি। তার জীবদ্দশায় শেষ ৪ বছরও কেটেছে রোগ- শোকে।
কুষ্টিয়ার জমিদারী হতে যে আয় হতো, মোট আয়ের মাসোহারা হিসেবে ভাগ হতো শতাধিক হিস্যাদের ভেতর।  সহজ ভাবে বললে শেয়ার হোল্ডার দের ও অর্থ দিতে হতো।  জমিদারীর তহবিল হতে খুব বেশি অর্থ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। তাঁর চিঠি পত্র ও পুরোনো কাগজ পত্রের একটি হিসাব হতে জানা যায় প্রায় ৫০০ রূপি থাকতো।  কিন্তু জোঁড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে রক্ষাণাবেক্ষণ ব্যয় মাসে প্রায় ৩০০ রূপি লেগে যেত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে নিয়ে অনেক কথাই আলোচনা /উল্লেখ হয়না।  তিনি বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মেছিলেন। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। ব্রিটিশরা তাকে নাইট উপাধি দিয়েছিলেন।  কবি হিসেবে খুব সফল ছিলেন বই লিখেই অঢেল সম্পদ গড়েছেন।  এমন তথ্য গুলোই সবাই বলে, আলোচনায় আনেন।
কিন্তু তিনি যে অর্থ সংকটে কলাকাতায় না থেকে বীরভূমের বোলপুরে বাস করেছেন। পুরীর বাসস্থান বেঁচেছেন, এমনকি স্ত্রী র গহনা ও বেচতে হয়েছিলো। এগুলো কেউ বলতে / লিখতে চান না।
রবীন্দ্রনাথ এমন মানুষ যিনি মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে লেখা লিখি শুরু করেছিলেন। নাইট উপাধি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। নোবেল প্রাইজের টাকা বিশ্ব ভারতী, শান্তি নিকেতন, শ্রীনিকেতনে ব্যয় করেছিলেন।
তাঁর পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও জামাতা নগেন্দ্রনাথ পড়াশুনা করতেন USA তে, যার খরচ যোগান দিতে হতো রবীন্দ্রনাথ কে।
তিনি পিতার মতই ট্রাভেলার / ভ্রমণবিলাসী  ছিলেন,
তার অনেক সাদাকালো ছবি এখনও ফেসবুকে ভেসে বেড়ায়। বিলেত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া,জাপান, অষ্ট্রেলিয়া সহ নানান দেশ তিনি ভ্রমণ করতেন। এটাও তার আর্থিক সংকটের একটি কারণ।
তিনি বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার শিলাইদহ বাদেও নঁওগা র পতিসর, সিরাজগঞ্জের শহজাদপুরে থেকেছেন। তাঁর শশুড় বাড়ি ছিল খুলনার দক্ষিণডিহিতে। ওনার স্ত্রীকে সবাই মৃণালিনী দেবী নামে চিনলেও প্রকৃত নাম ছিল ভবতারিণী।
তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ায় খুব বেশি মনযোগী ছিলেন না। ১৮৭৮ এ  লন্ডনে তিনি ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়েছিলেন শেষ করেন নি। পরবর্তীতে আবার  আইন বিষয়ে পড়তে গিয়ে ও পড়া ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু সাহিত্য, কবিতা, উপন্যাস, গানে খ্যাতি পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে। তাকে বলা হয় বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
দুঃখ কাকে বলে এর প্রায় সবই কবিগুরু পেয়েছিলেন এক জীবনে। স্ত্রী মারা গেলেন কবির ৪১ বছর বয়সে। কবির ছিলো তিন মেয়ে, দুই ছেলে। রথীন্দ্রনাথ, শমীন্দ্রনাথ আর বেলা, রাণী ও অতশী।
স্ত্রী’র পর অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন রাণী। এরপর কলেরায় মারা গেলো ছোট ছেলে শমী। পুত্রশোকে কবি লিখলেন-
“আজ জোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে।”
কবি’র মনে হলো এই জোৎস্নায় কবি বনে গেলে হবে না। বরং তাঁকে জেগে থাকতে হবে, যদি বাবার কথা মনে পড়ে শমী’র! যদি এসে কবিকে না পায়? তিনি লিখলেন-
“আমারে যে জাগতে হবে, কী জানি সে আসবে কবে
যদি আমায় পড়ে তাহার মনে।’
রাণীর জামাইকে পাঠিয়েছিলেন কবি বিলেতে ডাক্তারী পড়তে, না পড়েই ফেরত আসল। বড় মেয়ের জামাইকে পাঠিয়েছিলেন বিলেতে, ব্যারিস্টারী পড়তে, না পড়েই ফেরেত আসল। ছোট মেয়ে অতশীর জামাইকেও আমেরিকায় কৃষিবিদ্যার উপর পড়াশোনা করতে। লোভী এই লোক কবিকে বার বার টাকা চেয়ে চিঠি দিত। কবি লিখলেন-
“জমিদারী থেকে যে টাকা পাই, সবটাই তোমাকে পাঠাই।”
দেশে ফেরার কিছুদিন পর ছোট মেয়েটাও মারা গেল।
সবচাইতে কষ্টের মৃত্যু হয় বড় মেয়ের। বড় জামাই বিলেত থেকে ফেরার পর ছোট জামাইয়ের সাথে ঝগড়া লেগে কবির বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। মেয়ে বেলা হয়ে পড়েন অসুস্থ। অসুস্থ এই মেয়েকে দেখতে কবিগুরু প্রতিদিন গাড়ী করে মেয়ের বাড়ী যেতেন। কবিকে যত রকম অপমান করার এই জামাই করতেন। কবির সামনে টেবিলে পা তুলে সিগারেট খেতেন। তবু কবি প্রতিদিনই যেতেন মেয়েকে দেখতে। একদিন কবি যাচ্ছেন, মাঝপথেই শুনলেন বেলা মারা গেছে। কবি শেষ দেখা দেখতে আর গেলেন না। মাঝপথ থেকেই ফেরত চলে আসলেন। হৈমন্তীর গল্প যেন কবির মেয়েরই গল্প!
শোক কতটা গভীর হলে কবির কলম দিয়ে বের হল‌-
“আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে॥”
কবির মৃত্যু হলো অতি মাত্রায় কষ্ট সহ্য করে, প্রস্রাবের প্রদাহে। কবির বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথের কাছ থেকে শেষ বিদায়টাও পাননি। দূর সম্পর্কের এক নাতনি ছিলো কবির শেষ বিদায়ের ক্ষণে।
কবি জমিদার ছিলেন এইসব গল্প সবাই জানে। কবি’র দুঃখের এই জীবনের কথা ক’জন জানেন?
প্রথম যৌবনে যে গান লিখলেন, এইটাই যেন কবির শেষ জীবনে সত্যি হয়ে গেলো-
“আমিই শুধু রইনু বাকি।
যা ছিল তা গেল চলে, রইল যা তা কেবল ফাঁকি। বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ