1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
সর্বজনীন পেনশনের ফলে বৈষম্য দূর হবে: প্রধানমন্ত্রী - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

সর্বজনীন পেনশনের ফলে বৈষম্য দূর হবে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৪০ 0 বার সংবাদি দেখেছে

অনলাইন ডেস্ক // দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে বৈষম্য দূর হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে অনেকে পরিবারের কাছেই বোঝা হয়ে যান। পরিবারের কাছে যেন মূল্য থাকে, কেউ যেন বোঝা হয়ে না যান, এই কর্মসূচি তাতে ভূমিকা রাখবে। বৃদ্ধ বয়সে হাত পাততে হবে না।’ আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণকে পেনশনের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বক্তব্যে সর্বজনীন পেনশন চালুর আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে সবাইকে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। মানুষকে অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও উন্নত জীবন দেবেন, সেই চিন্তা নিয়েই তিনি এতটা সংগ্রাম করেছেন। শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতার সংগ্রামের পথ বেয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। আমরা যদি স্বাধীনতা না পেতাম তাহলে আমাদের কোনো পরিচয় থাকত না। আমাদের নিজস্ব কোনো পাসপোর্ট থাকত না। আমরা সব সময় অন্যের দ্বারা শোষিত-বঞ্চিত-নির্যাতিত থাকতাম। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার যেই স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, সেটি বাস্তবায়নের জন্য আজকে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করছি। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ তার জীবটাকে অন্তত সুরক্ষিত করতে পারবে।’ আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী এর আগে সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়। ইতিমধ্যে পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট (www.upension.gov.bd) চালু করা হয়েছে। আপাতত চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করছে সরকার। এগুলো হলো- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। এদের মধ্যে ‘প্রবাস’ কর্মসূচি হচ্ছে প্রবাসীদের জন্য; প্রগতি কর্মসূচি হচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য; সুরক্ষা স্কিম হচ্ছে অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য; আর সমতা স্কিম হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থ জমার সুযোগ রাখা হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। তারা মাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা রাখতে পারবেন। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ এই কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন। সরকারের সর্বজনীন কর্মসূচিতে ১৮ বছর বয়সে যুক্ত হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা মিলবে। যুক্ত হতে বয়স যত বাড়বে, আনুপাতিক হারে কমতে থাকবে সুবিধাও। এভাবে যে কেউ তাঁর মোট চাঁদার (কিস্তি) চেয়ে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৩০ গুণ থেকে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩১ গুণ টাকা পেনশন পাবেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের গত রোববার জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে যুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন গ্রাহক। চাঁদা পরিশোধের পর তিনি মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন ১৫ বছর।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ