শনিবার রাজ্যের ছটি জেলায় প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ ঘটে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে ওড়িশার ছয় জেলায় বজ্রপাতে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যটির বিশেষ ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, বজ্রপাতের কারণে খুরদা জেলায় চারজন, বোলাঙ্গিরে দুজন এবং আঙ্গুল, বৌধ, জগৎসিংহপুর ও ঢেনকানালে একজনের করে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতে খুরদাতে তিনজন আহত হয়েছেন।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) আগামী চার দিনের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন অংশে একই রকম পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে। টুইন সিটি নামে পরিচিত ভুবনেশ্বর এবং কটক শহরে শনিবার বিকেলে মাত্র ৯০ মিনিটে যথাক্রমে ১২৬ মিমি এবং ৯৫.৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বজ্রপাতের সময় মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ভুবনেশ্বরের আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিচালক এইচ আর বিশ্বাস বলেছেন, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে এবং রোববার নাগাদ বঙ্গোপসাগরের উত্তরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। মূলত ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালন এবং সম্ভাব্য নিম্নচাপ অঞ্চলের কারণে ওড়িশায় আগামী তিন থেকে চার দিন ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।