মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িরচর খাজুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা রাঢ়ীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পরিষদের সকল সদস্য। গত সোমবার (২অক্টোবর) ২০২৩ ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ওই পরিষদের সদস্যা মাকসুদা বেগম। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং সকল সদস্য বরিশাল গিয়ে জেলা প্রশাসক বরিশাল এর নিকট অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত পরিষদে মাদক ও গাজা সেবন করে মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং মাতাল অবস্থায় থাকেন। সদস্যদের পরিষদে ঢুকতে বাঁধা দেন, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে সদস্যদেরকে দূরে রাখেন, সদস্যদের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় ও পরামর্শ ছাড়াই মনগড়া পরিষদ চালাচ্ছেন। পরিষদের অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশে ইউনিয়ন পরিষদে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে আনীত আরো অভিযোগ, জেলেদের চাল পরিমানে কম বিতরণ করা, সরকারি বরাদ্দ টি,আর কাবিটা সামান্য কাজ করে টাকা এককভাবে আত্মসাৎ করা, আর এমপি ১০জন নারী শ্রমিকদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হারে উৎকোচ গ্রহণ, আরোহী সংস্থার ৯টি টিউবওয়েল বরাদ্দ পেয়ে তা বিতরণ করে প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে ২০-২৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ, এ ছাড়াও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এলজিএসপির টাকায় একক সিদ্ধান্তে নিম্নমানের কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ করা। এছাড়াও প্রায় ২ বছর আগে তিনি মসজিদের এক ইমাম এবং শিক্ষককে প্রকাশ্য জুতার মালা পড়িয়ে হেনস্তা করে। সেই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। নানা অনিয়ম দুর্ণীতির কারনে তিনি সাসপেন্ডও হয়েছিলেন। গত ২৮-০৮-২০২৩ইং ইউনিয়ন পরিষদের এক সভায় ১২ জন সদস্য ও সদস্যা উপস্থিত হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনে রেজুলেশন করেন।অভিযোগকারী ইউপি সদস্য শহীদ দেওয়ান এবং মাকসুদা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা রাঢ়ীর বিরুদ্ধে ইউএনও এবং জেলা প্রশাসক এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি, তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। আমরা চেয়ারম্যান এর অপসারণ চাই। ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা রাঢ়ী বলেন, ‘তারা যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলো সঠিক নয়। কেনো আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে, তাও জানি না।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এসেছে।