1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
রেকর্ড বৃষ্টিপাত, পানিতে ভাসছে রাজশাহী - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

রেকর্ড বৃষ্টিপাত, পানিতে ভাসছে রাজশাহী

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৫৫ 0 বার সংবাদি দেখেছে

চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সেই সাথে জেলার বেশি কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

 

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহীতে সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টি হয়েছে ২৫৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার। চলতি মাসের পাঁচদিনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৩৬ দশমিক ৯ মিলিমিটার। গতকাল বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৬৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। শুধু বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টার পর থেকে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের এ রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

রাজশাহীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের বেশ কয়েকদিন থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনো হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে ২৪ ঘণ্টায় ১৬১ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড এই প্রথম।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম জানান, গতকাল বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টার আগে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫ মিলিমিটার। একই দিন রাত ১০টার পর থেকে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৬১ মিলিমিটার। এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

নগরীর বর্ণালি মোড়, সাহেববাজার, কাদিরগঞ্জ, দড়িখড়বোনা ও রেলগেট সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে ছিল। এছাড়াও লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ভদ্রাসহ মূল শহরের বাইরের এলাকা ও বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে জলাবদ্ধতায় আটকে পড়েছে মানুষ। সেই সাথে চলাচলেও দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

নগরীর ষষ্টিতলার বাসিন্দা দিপু সরকার বলেন, আমাদের বাড়িতে পানি চলে এসেছে। রাত থেকে পানিতে ডুবে আছে। এরমধ্যে কষ্ট করেই আমাদের থাকতে হচ্ছে। এখন পানি বের না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছু করার নেই।

এদিকে, উপশহরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকার সড়কগুলোতেও হাঁটুপানি জমে রয়েছে। অনেকের বাড়িতেও ড্রেনের পানি ঢুকেছে। বাসিন্দারা বলছেন, এই মুহূর্তে কোনটা ড্রেন আর কোনটা রাস্তা- তা বুঝা মুশকিল।

রাসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ বনি আহসান বলেন, আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত। তবে নগরবাসীর অসচেতনতার কারণে ড্রেন দিয়ে ঠিকমতো পানি প্রবাহিত হতে পারছে না। নগরবাসী ড্রেনে ময়লা ফেলছে। তা ছাড়া এখন এই শহরে প্রচুর ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এসব ভবন নির্মাণের বালিসহ উচ্ছিষ্ট ম্যাটেরিয়ালস ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। এতে ড্রেনের নাব্য কমে গেছে। এসব কারণে একটু বৃষ্টি হলেওই ড্রেনের পানি উপচে এসে রাস্তায় জমছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, রাজশাহী হঠাৎ এমন ভারী বর্ষণের কারণে আমাদের কিছু ক্ষতি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে গেলে পেঁয়াজের ক্ষতি হবে না। আর কালাই রোপণ করার সময় এখনও আছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ