1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ (বরিশাল-৪) আসনের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে বিভক্তি ।। বাড়ছে সংঘাতের শংকা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন

হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ (বরিশাল-৪) আসনের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে বিভক্তি ।। বাড়ছে সংঘাতের শংকা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৭৩ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিউজ ডেস্ক।। 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল-৪ আসনের হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ প্রকট আকার ধারন করেছে। বাকযুদ্ধের পাশাপাশি সরাসরি বিবাদেও জড়িয়ে পড়ছে ত্রি-গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ। অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আহমেদ। এ পক্ষকে জেলা আওয়ামী লীগ পক্ষ অভিহিত করেছে এমপি পংকজ অনুসারী নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও রয়েছেন এ্যাড. আফজালুল করিম। যদিও তিনি নিরবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কারো প্রতি কোনো বিরুপ মন্তব্য না করেই।
গত ১৬ অক্টোবর বরিশালের হিজলায় অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় তিন সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এমপি পঙ্কজের নানা সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। গত ১০ বছরে দুই উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর অন্যায়-অত্যাচার হয়েছে দাবি করে নেতৃবৃন্দ আগামী নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করেন। ওই কর্মীসভায় শাম্মী আহমেদ প্রধান অতিথি ছিলেন। নিজের প্রার্থী বিষয়ে কোন কথা না বললেও এ নিয়ে বুধবার তার প্রয়াত বাবা বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে বক্তব্য দেন বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ। এরপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার তিন থানা এলাকার রাজনীতি। কোনঠাসা অবস্থা থেকে বেরিয়ে শক্ত অবস্থান জানান দেয়ার চেষ্টা করছেন এমপি পংকজ দেবনাথ। আর জেলা আওয়ামী লীগ অনুসারীরা শাম্মি আহমেদকে সামনে নিয়ে আগানোর চেষ্টা করছে। দলীয় নেতার অনুসারীরা নিশ্চিত তারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এর মাঝেও আরো কয়েকজন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় হিজলা উপজেলার চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন ঢালীর সাথে। তিনি বলেন, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য প্রার্থী হলেন পংকজ দেবনাথ। তাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে তিনি জয়লাভ করবেন।
স্বপক্ষের যুক্তি তুলে ধরে প্রবীন এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, উপজেলা নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার ছিলেন দলীয় প্রার্থী। ভোটে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তিনি পেয়েছিলে ২৬ হাজার ও টিপু সিকদার পেয়েছিলেন ১০ হাজার ভোট। টিপু সিকদার দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। সাধারন মানুষ যদি তাদের সমর্থন করতো, তাহলে তো ভোট পেতো। কিন্তু তাদের পক্ষে সাধারন মানুষ নেই। যারা দিতে পারে জনগন তাদের পক্ষে থাকে। পংকজ দেবনাথ সাধারন মানুষের জন্য করে। জনগন তার পক্ষে রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত ঢালির দাবি দলীয় পদধারীরা না থাকলেও জনপ্রতিনিধি ও জনগন পংকজ দেবনাথের পক্ষে রয়েছেন। হিজলা উপজেলার চেয়রম্যান, সাধারন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এমনকি ইউপি সদস্যরাও পংকজ দেবনাথের পক্ষে রয়েছে।

 

 

এমপি পংকজ দেবনাথের আরেকজন অনুসারী ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলু বলেন, হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ ও কাজিরহাট থানা আওয়ামী লীগ এবং সংগঠনের কোন কমিটিতে এমপির কোন অনুসারী নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান, সাধারন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর ও ১৬ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা এমপি পংকজ অনুসারী ছিলেন। এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান, ৮ ইউপি চেয়ারম্যানসহ সিংহভাগ জনপ্রতিনিধি এখন তার পংকজ এমপির পক্ষে নেই।

 

 

তাই এখন তিনি ও তার অনুসারীরা সকলে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন জানিয়ে ভুলু বলেন, বর্তমানে বরিশাল-৪ আসনে পাঁচ নেতা চেষ্টা করছেন। তারা হলেন বর্তমান এমপি পংকজ দেবনাথ, শাম্মী আহমেদ, এ্যাড. আফজালুল করিম, মো: মইদুল ইসলাম, শাহআলম মুরাদ।
এমপি পংকজের একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত ভুলু বলেন, যিনি দলের মনোয়ন পাবেন তার পক্ষে নেতাকর্মীসহ তিনি কাজ করবেন। বর্তমানে দলীয় প্রার্থী হিসেবে শাম্মী আহমেদ অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন দাবি করে ভুলু বলেন, আগে তার এতটা পরিচিতি ছিলো না। নিয়মতি মেহেন্দিগঞ্জেও আসতো না। এখন নিয়মিত আসছেন, দলীয় কর্মসুচীতে অংশ নিচ্ছেন। এ কারনে তার অনুসারীর সংখ্যাও বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ভুলু।

সম্পর্কে কি বলেছে তা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না। কাঁদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি আমি করি না। আমি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রচার প্রচারনা করি। উন্নয়ন কর্মকা- যদি সাধারন মানুষের কাছে তুলে না ধরা যায়, তাহলে মানুষ কেন ভোট দিবে। আমি উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে ভোট চেয়ে নিজের প্রার্থীতা তুলে ধরছি। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহাব আহমেদ বলেন, এমপি পংকজ কি বলছে না বলছে তা নিয়ে কোন মন্তব্য করবো না। বরিশালের মানুষ জানে মহিউদ্দিন আহমেদ কে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের জন্য মহিউদ্দিন আহমেদ কি করেছেন। আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ড নগরীর আলেকান্দার বাসায় পরিচালিত হতো। সাধারন সম্পাদক জানান, তার বোন শাম্মী আহমেদ বরিশাল বিএম কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০০০১ সালে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আন্তজার্তিক সম্পাদক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য হন। ২০১৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন। এদিকে ঘোষনা না দিলেও বরিশাল-৪ আসন থেকে দুইবারের নির্বাচিত  সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও চেয়ারম্যান মো. মইদুল ইসলামও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। দলীয় নেতাকর্মীদের কাঁদা ছোড়াছুড়িতে না জড়িয়ে নিরবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবেন্দদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ