দেশে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মের সুরা কাফিরুনে স্পষ্ট বলা আছে, ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন’। অর্থাৎ যার যার ধর্ম সে পালন করবে। কেউ কারও ওপর হস্তক্ষেপ করবে না।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গা উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ পর বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে।’ ৯২, ২০০১ ও তার আগে বার বার আঘাত এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় আপনাদের পাশে ছিল, পাশে আছি।
বাংলাদেশের মানুষ সবসময় উদার মনের উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, তারাও সব সময় অসম্প্রদায় চেতনাকে বিশ্বাস করে। যে কারণে আজকে আমাদের স্লোগান, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সবাই আমরা ঠিকই এভাবে উৎসব পালন করে যাচ্ছি।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পুরোহিতের সাথে কথা বলে দুর্গাপূজার খোঁজখবর নেন । ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে আপনাদের পূজা সম্পন্ন হোক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের সব নেতাকর্মী আপনাদের পাশে থাকবে। কোনো রকম ঘটনা যাতে এখানে কেউ না ঘটাতে পারে সেদিকে আমরা সতর্ক থাকব।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবাই এই মাটির সন্তান। এই মাটিতে আপনারা সবাই নিজ নিজ অধিকার নিয়ে বাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছেন। কাজেই এখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার যাতে বলবৎ ও সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সবসময় সেই চেষ্টাই করি।
সরকারপ্রধান বলেন, আজকে দেশের ঘরে ঘরে খাবার-বিদ্যুৎ আছে। আমরা তৃণমূল পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া, সেটি আপনারা জানেন। সেজন্য আপনার বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার জন্য আশীর্বাদ করুন।
এ সময় তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে তিনি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি পুরোহিতের সাথে কথা বলে পূজার খোঁজখবর নেন। শুভেচ্ছা জানানোর মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে তাকে নৃত্যসংগীতে স্বাগত জানানো হয়।