জীবিকার তাগিদে ডিঙি নৌকায় ভেসে খালে বিলে ও নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করেই সংসার চলে তাদের। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার ফেরীঘাট এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীরে থানার খালে দেখা যায় ১৬ জন মাছ শিকারীকে। তাদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায়।মাছ শিকারের জন্য দেড় মাস আগে তারা ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এসেছেন। আর এই নদী থেকে তার বড়শি দিয়ে চিংড়ি শিকার করছেন। যাদের সংসার চলে শুধু মাছ শিকার করে। বলা যায় মাছ শিকারই তাদের জীবন-জীবিকা। অন্য কোন কাজ করেন না তারা।
বেল্লাল মোল্লা নামে এক মাছ শিকারি বলেন, বড়শিতে মাছ শিকার করেই চলছে তার এবং তারই মতো আরও বহু পরিবারের জীবন-সংসার। তিনি আরও বলেন, জীবিকার প্রয়োজনে দিন নেই, রাত নেই সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে বছরের পর বছর শুধু মাছ শিকার করেই চলেছি। এখন এটাই পেশা, এটাই নেশা। এর রোজগার দিয়েই স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখাসহ সংসার চলে তার।
রফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন মৎস্য শিকারি বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে নৌকা করে বিভিন্ন নদীতে বড়শি দিয়ে চিংড়ি মাছ শিকার করছি। কোন দিন ২ কেজি কোনদিন ৪ কেজি আবার কোন দিন ১ কেজি। দিনে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০০ – ৫০০০ হাজার টাকা আয় করতে পারি।আবার মাঝেমধ্যে শুধু নিজেদের খাবারের খরচের টাকা আয় হয়।
নৌকা নোঙ্গর করা ভাসান সম্প্রদায়ের মিলন শেখ জানায়, নদীর পানির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় তাদের। তবে বড়শিতে মাছ শিকারই তাদের বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন।আর তারা নৌকায় রান্না করে, নৌকায় খায় ও নৌকায় ঘুমায়।তিনি আরও জানান, যখন আবহাওয়া খারাপ থাকে তখন বিভিন্ন খালের ব্রিজের নিচে আশ্রয় নেন। এরপর নৌকায় চাক দিয়ে পলিথিন পেচিয়ে ছৈই বানিয়ে থাকেন।