প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে নাগরিকদের ভোটাধিকার ও সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার রক্ষা করার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে সুশীল সমাজ, মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং গণমাধ্যমের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এতে বলা হয়েছে এর মাধ্যমে যেন কোনো প্রকার ভয়ভীতি ছাড়াই মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার ভোগ করতে পারে।
জানা যায়, সুপারিশমালা অনুমোদনের সভায় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেনেভায় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। তিনি এ সময় যেসব দেশ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ এসেছে, তাদের ধন্যবাদ জানান।
সুফিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ এসব সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার পরিষদের ৫৫তম অধিবেশনের আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।’
ইউপিআর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দানকারী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার বলেলিছেন, মোট ১১১টি দেশ বৈঠকে অংশ নিয়েছে এবং ৯০ শতাংশ দেশ মানবাধিকার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।
তিনি বলেন, ‘এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশের বড় ধরনের সমালোচনা করেনি, বরং তারা কিছু গঠনমূলক সুপারিশ নিয়ে এসেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ মানবাধিকার ইস্যুতে সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।’
এর আগে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানবাধিকার কাউন্সিলের সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক এই পর্যালোচনা বাংলাদেশের জন্য কেবল মুখে মুখে মানবাধিকারের প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার জন্য নয়, বরং এটি দেশের মানবাধিকার রক্ষাকারী গোষ্ঠী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণেরও একটি সুযোগ।