1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
মনোনয়ন বাতিল, সুযোগ আছে আপিলের - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

মনোনয়ন বাতিল, সুযোগ আছে আপিলের

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৩ 0 বার সংবাদি দেখেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক // যাচাই-বাছাইয়ে নানা ত্রুটি ধরা পড়ায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের তৃতীয় দিনে বিভিন্ন আসনে কয়েকশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ঋণ খেলাপি ও তথ্যে গরমিল, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ও এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ত্রুটিপূর্ণসহ একাধিক বিষয় উল্লেখ আছে। তবে, তারা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে এ ব্যাপারে আপিল করতে পারবেন। 

মনোনয়ন বাতিলের তালিকায় আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি’ও আছেন। আছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মাহী বি চৌধুরী, গণফোরামের এমপি ছাড়াও অনেক আলোচিত ও হেভিওয়েট প্রার্থীরা।

ঝালকাঠি-১ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ‘আলোচিত’ প্রার্থী মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, বর্তমান আওয়ামী লীগের এমপি বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির মো. এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল।

বরিশালে পঙ্কজ-শাম্মী-সাদিকের মনোনয়নপত্র স্থগিত

যাছাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনে বরিশালের ছয়টি সংসদীয় আসনের ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার এছাড়া স্থগিত রাখা হয়েছে আরও চারজনের। বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম এই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে বাতিল ঘোষণা করেন।

বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকায় যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন আজ শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। এ সময় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ উভয় দেশে নাগরিকত্ব রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ। আর শাম্মী আহম্মেদ পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনেন।

শাম্মী উল্লেখ করেন, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিহঙ্গ পরিবহনে পঙ্কজ নাথের মালিকানা রয়েছে। সেই তথ্য তিনি হলফনামায় গোপন করেছেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি পর্যালোচনা এবং উভয় পক্ষের অভিযোগের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই শেষে আজ সিদ্ধান্ত দেয়ার ঘোষণা দেন।

বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র মনোনয়নপত্রে আমেরিকায় স্ত্রীর নামে একটি বাড়ি থাকার বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। এ কারণে তার মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়।

নৌকার শাহজাহান ওমরের আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যের মনোনয়ন বাতিল

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের ‘আলোচিত’ প্রার্থী মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বাতিল হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাহ গুল নিঝুম দুটি আসনের সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন। মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে আটজনের। মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় আছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নের প্রথম তালিকায় থাকা বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির মো. এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুলের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিরণের মনোনয়ন বাতিল

ঋণখেলাপির অভিযোগে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী মামুনুর রশিদ কিরণ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।’

অধ্যাপক আনোয়ার, শফী আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, নব্বইয়ের গণআন্দোলনের নেতা শফী আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ত্রুটিপূর্ণ, খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

রোববার নেত্রকোনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজের কার্যালয়ে জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। মোট ৩৬ জনের মনোনয়নপত্র যাচাইয়ের পর ৭ জন স্বতন্ত্রসহ ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা আপিল করতে পারবেন।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, শফী আহমেদ রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাতিলের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।

গণফোরামের এমপি মোকাব্বিরের মনোনয়ন বাতিল

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘প্রার্থী মোকাব্বির খান গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে তার মনোনয়নপত্রে নিজেই সই করেন। কিন্তু তিনি যে দলের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তার কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। যে কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’

নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমি ঢাকাতে আসছি মাত্র, এটি সমাধান হয়ে যাবে।’

মোকাব্বির খান ২০১৮ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোট থেকে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিকল্পধারার মাহী বি চৌধুরী ও মান্নানের মনোনয়ন বাতিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং কর্মকর্তা মো. আবু জাফর রিপন এ ঘোষণা দেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘মাহী বি চৌধুরী একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার ছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য দেয়া হয়েছে।’

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, এ আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় যাচাই-বাছাই শেষে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণখেলাপির অভিযোগে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

কুলা মার্কার প্রার্থী মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. আবু সুফিয়ান খান বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর সব মামলা স্থগিত এবং ঋণ হালনাগাদ রয়েছে। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হবে।’

সৈয়দ নজরুলের ছেলে ও আখতারুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিল

কিশোরগঞ্জে আলোচিত বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিনের ছেলে শরীফ আহাম্মদ সাদী ও বিএনপি থেকে নির্বাচিত তিনবারের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া নাসিরুল ইসলাম খানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তিনি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে। তার ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এই আসন থেকে ১৯৯৬ থেকে পাঁচটি নির্বাচনে জিতে ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরপর তার মৃত্যু হলে উপনির্বাচনে লিপিকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

এই আসনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থী হন লিপির ভাই প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে কমপক্ষে এক শতাংশ ভোটারের সইয়ের যে শর্ত আছে, সেখানে ঝামেলায় পড়েন তারা।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া) ‘বিএনপির ভোট বর্জন ভুল’, উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আখতারুজ্জামান। কিন্তু তার মনোনয়ন পাতিল হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খেলাপি ঋণের কারণে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আখতারুজ্জামান ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের দুটি নির্বাচনে বিএনপির হয়ে বিজয়ী। প্রার্থিতা বাতিলের পর আখতারুজ্জমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার প্রার্থিতা বাতিলের ফলে প্রমাণ হয়েছে আমি সরকারের সঙ্গে আতাত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। আমি শুধু বিএনপির ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্যই নির্বাচনে প্রার্থিতা দাখিল করেছিলাম। আমি বিএনপি করি এবং আমৃত্যু বিএনপি করে যাব।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ