প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত ও শনিবার ভোরে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বরিশাল নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচনি পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক টুটুল চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাত সাড়ে ৪টার দিকে কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী আগুন জ্বলতে দেখে নিভিয়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় নির্বাচনী ক্লাবের টেবিল ও কাপড় পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পেট্রলের একটি বোতলও পাওয়া গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে আগুন কারা লাগিয়েছে তা দেখতে পাওয়া যায়নি।’
খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জানান টুটুল।
তবে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আরিচুল হক বলেন, ‘আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুৃ জানি না।’
এদিকে উজিরপুর উপজেলার ধামসর বাজার কমিটির সভাপতি ও শ্রমিক লীগ নেতা জাকির হোসেন জানান, ‘৭৯ নম্বর ধামসর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে স্কুলের নিরাপত্তায় ছিলেন তিনিসহ আরও তিনজন।
জাকির হোসেন বলেন, ‘স্কুলের বারান্দায় আমার মোটরসাইকেল রাখা ছিল। আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাজারে নাস্তা করতে যাই। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল ও স্কুলের দরজায় আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে সম্পূর্ণ মোটরসাইকেল ও দরজার কিছু অংশ পুড়ে যায়।’
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলার সিদ্বান্ত নেওয়া হবে।
উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সরদার সাংবাদিকদের জানান, সানুহার স্কুলেও আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানের নিরাপত্তা কর্মীরা টের পাওয়ায় আগুন দিতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
সালাম সরদার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা কর্মীরা ভোরে বের হওয়ার পর কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেখতে পায়। তাদের ধাওয়া দিলে ডিজেল ভর্তি বোতল ফেলে পালিয়ে যায়।’
ভোটকেন্দ্রে আগুনের বিষয়ে জানতে উজিরপুর মডেল থানার ওসি জাফর আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভুয়া। ভুয়া। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী আগুন লাগার ছবি ধারণ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আগুনে স্কুলের একটি কক্ষের বেঞ্চ-চেয়ার ও ফ্যান পুড়ে গেছে।
তবে কোনো ভোটকেন্দ্রে আগুনের ঘটনা নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন , শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনকে বিতর্কিত করতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।