নিজস্ব প্রতিবেদক // ভোটবিহীন ডামি নির্বাচন করে অবৈধ সরকার আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে দেশকে হাস্যরসে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি নির্বাচনে না এসে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ওবায়দুল কাদেররা এই দেশটাকে দোজখে পরিণত করেছে। আমরা তো সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছি। আপনারা তো সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখেছেন। দেশের সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখে একটি ভোটবিহীন ডামি নির্বাচন করে দেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে হাস্যরস্রে পরিণত করেছেন। আমরা যদি সার্বভৌমত্ব বন্দক রাখতাম, প্রভুদের কথা শুনতাম, নিজেদের শক্তি বলে আন্দোলন করতাম না। এদেশের জনগণ আমাদের শক্তি তাদের ভরেই আমরা রাজনীতি করছি। কোন প্রভুদের ভরে নয়। যারা প্রভু রাষ্ট্রের ভয়ে রাজনীতি করে তারাই এদেশের সর্বভৌমত্বকে বিক্রি করে।
শনিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, আজ আমরা নদীর পানি আনতে পারি না। টিপাই মুখ বাঁধ পদ্মাবাধ আটক করে রেখেছে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) কথা বলতে পারেন না। কারণ আপনারা সার্বভৌমত্ব বিক্রি করা লোক। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে একদলীয় কর্তৃবাদ হয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি (শেখ হাসিনা) আজ নিজেকে সম্রাট হিসেবে পরিণত করেছে তার কথায়, তার ইশারায় দেশ চলছে। এর মধ্যেও আমাদের এখানে যারা নেতৃবৃন্দ আছেন তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও শক্তিশালী করার জন্য জীবনকে বাজিয়ে রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের জীবন চলে যাবে তারপরও বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটি এজারা দিতে দেবো না আমরা। এটাই হচ্ছে বিএনপি। কারণ এই শিক্ষাটাই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র এই তিনটি সুরক্ষার বাণী শুনিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাণী শুনিয়েছিলেন বলেই আন্তর্জাতিক চক্রান্ত দ্বারা তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অকুতঃভয় দেশপ্রেমী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে পতাকা সেই পতাকা হাতে তুলেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এই অবৈধ সরকার তাকে জেলে ভরে নিপীড়ন নির্যাতন করছে। তিনি এখন রোগে আক্রান্ত হয়েছে তারপরও তার সাথে আপোষ করা যায়নি। তিনি আপোষ হননি তার মাথা নোয়াতে পারেনি। এটাই হচ্ছে সার্বভৌমত্ব রক্ষার বড় প্রমাণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার।
বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সহ-মহিলা দলের নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।