র্যাব-২-এর চারটি দল পৃথকভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান তদারকি কর্মকর্তা র্যাব-২-এর উপ-অধিনায়ক মেজর নাজমুল্লাহিল ওয়াদুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দালালেরা সরকারি হাসপাতাল থেকে তাদের কমিশনভিত্তিক ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান। এ সময় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার সময় ১৭ জন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে ১২, আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতাল থেকে ৪ ও পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়।’
মেজর ওয়াদুদ বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে রোগী আসামাত্রই দালালেরা রোগীর পিছু নিয়ে রোগীদের বিভ্রান্তি করেন। তারা রোগী ও তাদের সঙ্গে আসা স্বজনদের বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ভালো না। এখানে চিকিৎসক এখনো আসেননি। এখানে বেড খালি নেই। বাইরের হাসপাতালে গেলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে, সেখানে খরচও কম।’ এভাবে প্রলুব্ধ করে তাদের চুক্তিভিত্তিক ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তারা চুক্তিমতো কমিশন পান।
র্যাবের কর্মকর্তা ওয়াদুদ বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোয় আরেক দালাল চক্র তৎপর থাকে। তারা চিকিৎসকের কক্ষ থেকে রোগী বের হলে রোগীদের ঘিরে ধরে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রটি তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে জোর করে ছবি তুলে নেয়। পরে তারা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে তাদের চুক্তিভিত্তিক ওষুধ কোম্পানির ওষুধ লিখতে প্রভাবিত করে।
আটক দালাল চক্র নিয়ে আজ বেলা দেড়টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শেরে বাংলা নগর এলাকার শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একযোগে অভিযান চলে।
এদিকে রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযানের প্রথম দিনে মঙ্গলবার মোট ৬টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।