স্টাফ রিপোর্টার // পরিবেশ অধিদপ্তরে অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ দেয়ায় বিমানবন্দর থানাধীন কাশিপুর গনপাড়া এলাকায় ভাইয়ের হামলায় ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। রবিবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪ টায় গনপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতের নাম আব্দুর রহিম মাঝি সে ওই এলাকার বাসিন্দা হাসেম মাঝির ছেলে পেশায় সে একজন মেরিন ক্যাটারিং ইনচার্জ। বর্তমানে সে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত রহিম জানান, গত বিশ বছর আগে তার বাবা হাসেম মাঝি বিশ শতাংশ জমির একটি পুকুর তার নামে লিখে দেয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সেই পুকুর ভরাটের চেষ্টা চালায় আব্দুর রব মুন্না,সায়েম, ফরহাদ,রিদান, ও সহযোগী আব্দুল মালেক মাঝি ও আব্দুল খালেক মাঝি। এসময় সে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে গত ২ মার্চ রাতের আধারে তারা পুনরায় পুকুর ভরাট করে। বিষয়টি বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামালের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সহকারী পরিচালক বিবাদীদের নোটিশ করে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপস্থিত থাকতে বলে। পরে তারা ভুয়া আমিন ও ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। তারই সূত্র ধরে ঘটনার দিন রবিবার রহিম পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস থেকে বাড়িতে যায়। এ সময় আব্দুর রব মুন্না সহ অন্যান্যরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা ও বগিদাসহ দেশিয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিৎকার শুনে স্বজনরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন এর আগেও তারা আমার আরেকটি জমি দখল করে আমাকে মারধর করে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদি বলেন আমার কাছে আব্দুর রহিম এসেছিলো আমি তাকে পরামর্শ দেয়ার পর সে আমার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে। পরে আমি অভিযুক্তদের কাছে একটি নোটিশ পাঠাই। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তরা আমার কাছে জবাব দিতে আসে। কিছুক্ষণ পর রহিম আমাকে বলে আমার ভাই অফিসের ভেতরে আমাকে মেরেছে। পরে আমি তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।